ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে দু-জায়গায় জমি দেওয়া হলেও কোনও কাজ না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছর আলিপুরদুয়ার জেলার বর্ষপূর্তি উৎসবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যার সমাধানের জন্য জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এক বছরেও পুরসভা সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে না পারায় প্রশাসনিক বৈঠক পুরসভাকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, বসতি এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে দিতে চাননি এলাকাবাসী। তারপরে আলিপুরদুয়ার জংশন রেল এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য জমির খোঁজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গত ২৬ এপ্রিল কোদালবস্তিতে প্রশাসনিক বৈঠকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে খোঁজ নেন পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে। স্থানীয়দের বাধায় কাজ হয়নি শুনে তিনি জমির বদলে জমি দিয়ে রেল এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা যায় কি না তা দ্রুত দেখতে বলেন। পুরসভার চেয়ারম্যান আশিষ দত্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি রেলমন্ত্রক দেখছে। আশা করি তাড়াতাড়ি জায়গা পাব।’’
আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, রেল আমাদেরকে জানিয়েছে দলগাঁও বীরপাড়া এলাকায় তাদের পাঁচ একর জায়গা প্রয়োজন। সেখানে রাজ্য সরকার জয়গা দিলে তার বদলে জনবসতিহীন জায়গায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা দেবে রেল। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যের বরাদ্দ জায়গাগুলিতে বিরোধীদের বাধায় কাজ হয়নি।’’
তবে অন্য কথা বলছেন তাংর দলের নেতারাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা জানান, ‘‘আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের ভোট নষ্ট হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় তৃণমূলের কিছু নেতা সেখান ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আপত্তি তুলেছিলেন। তাতে প্রকল্পটি এগোয়নি।’’
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম চন্দ্রবীর রমন জানান, ‘‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডের প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’’ তবে রেলের জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের প্রস্তাবে আপত্তি আছে রেলের কর্মী সংগঠনের। রেলের কর্মী সংগঠন মজদুর ইউনিয়ের তরফে বিভাস জোয়ারদার প্রশ্ন তোলেন, ‘‘পুরসভার নিজস্ব জায়গা থাকতে সেখানে কেন ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে পারলেন না? এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড হলে এলাকার পরিবেশ কতটা অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে তাও দেখতে হবে।’’ ইউনিয়নের তরফে সুজিত মিশ্র জানান, বিষয়টি নিয়ে রেলকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy