Advertisement
E-Paper

সরকার পারে না, এটা একেবারেই ঠিক নয়

তামিলনাড়ু দেখিয়েছে, আয়বৃদ্ধির জন্য অনেক মানুষকে অভুক্ত, অশিক্ষিত বা বিনা চিকিৎসায় রাখার প্রয়োজন নেই, দারিদ্র কমানোর সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আয়ুবৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়নের অন্যান্য দিকগুলির উন্নতি সম্ভব। বিবেক শ্রীনিবাসনউন্নয়নের ঠিক রাস্তাটি কী? এই নিয়ে তর্কের শেষ নেই। এই লেখা সেই তর্কের একটা মীমাংসা খোঁজার চেষ্টা। একমাত্র মীমাংসা নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত বিচার করে আমরা বুঝতে চেষ্টা করব, কী ভাবে উন্নয়নের বিভিন্ন নীতির মধ্যে থেকে একটা পথ বেছে নেওয়া সম্ভব। যে রাজ্যটির দৃষ্টান্ত নেব, তার নাম তামিলনাড়ু।

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:২৫
দুই রাজনীতি, এক নীতি। কে কামরাজ (বাঁ দিকে) এবং এম জি রামচন্দ্রন।

দুই রাজনীতি, এক নীতি। কে কামরাজ (বাঁ দিকে) এবং এম জি রামচন্দ্রন।

উন্নয়নের ঠিক রাস্তাটি কী? এই নিয়ে তর্কের শেষ নেই। এই লেখা সেই তর্কের একটা মীমাংসা খোঁজার চেষ্টা। একমাত্র মীমাংসা নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত বিচার করে আমরা বুঝতে চেষ্টা করব, কী ভাবে উন্নয়নের বিভিন্ন নীতির মধ্যে থেকে একটা পথ বেছে নেওয়া সম্ভব। যে রাজ্যটির দৃষ্টান্ত নেব, তার নাম তামিলনাড়ু। পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি মৌলিক পরিষেবাগুলির ক্ষেত্রে এই রাজ্য রীতিমত সুনাম অর্জন করেছে। পাশাপাশি, তার আয়বৃদ্ধির অভিজ্ঞতাও খারাপ নয়। যাকে এখন ‘ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ বলা হচ্ছে, তামিলনাড়ু তার নজির হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তার অভিজ্ঞতা থেকে অন্য রাজ্যেরও শিক্ষণীয় থাকতে পারে।

তামিলনাড়ুর অধিকাংশ গ্রামে নানা ধরনের জনপরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন, জল, স্কুল, শিশুদের দেখভাল করার কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা, শক্তপোক্ত রাস্তা, রাস্তার আলো, বিদ্যুৎ, ন্যায্যমূল্যের দোকান, স্কুলপড়ুয়াদের খাবার দেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়াও আরও কিছু কিছু সুবিধে পেয়ে থাকেন গ্রামের মানুষ, যেমন বৃদ্ধদের পেনশন, প্রসূতিদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা, কৃষকদের উন্নতির জন্য নানা রকম প্রকল্প। এগুলি নিছক কাগজে কলমে আছে, তা বলা যাবে না, প্রত্যেকটিই কাজ করছে। গ্রামবাসীরা অবশ্য বলেন, প্রচুর গোলমাল আছে, দুর্নীতি আছে, পরিষেবার মান আরও উন্নত করা প্রয়োজন। কিন্তু যা পাওয়া যাচ্ছে, তার মূল্য অস্বীকার করার উপায় নেই।

একটা ব্যাপার খুব পরিষ্কার। রাজ্যে যে দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন তারা দেখে, এই সব পরিষেবা যাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তারা চেষ্টা করে, যাতে প্রকল্পগুলি ভাল ভাবে চলে। তারা এটা করতে বাধ্য হয়, কারণ তা না হলে তারা পরের নির্বাচনে ভোট পাবে না। এই চাপটা আছে বলেই শিক্ষকরা স্কুলে আসতে চান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি ওষুধ সরবরাহ করতে পারে, অঙ্গনবাড়ি কর্মীরা পড়াতে আসেন, বাস ঠিকঠাক সময়ে চলে, রেশন দোকানে গোটা মাসের জন্য বরাদ্দ কোটার সবটা পাওয়া যায়। এই প্রকল্পগুলির জন্য মোটা অঙ্কের বাজেট বরাদ্দ থাকে, প্রশাসন তৎপর থাকে যাতে সেই বরাদ্দের সদ্ব্যবহার হয়। প্রকল্পগুলি বেশির ভাগ রাজ্যের তুলনায় তামিলনাড়ুতে অনেক ভাল ভাবে রূপায়িত হয়।

সরকারি জনপরিষেবা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক সমালোচনা আছে। এক দল মনে করেন, জনপরিষেবা দেওয়ার কাজটা সরকার ঠিক করে করতে পারে না। আর এক দলের মতে, এই সব প্রকল্পে টাকা খরচ করলে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মার খাবে। তামিলনাড়ু কিন্তু দেখিয়েছে যে, অর্থনৈতিক উন্নতি করতে হলে অনেক মানুষকে অভুক্ত, অশিক্ষিত বা বিনা চিকিৎসায় রাখার প্রয়োজন নেই, দারিদ্র কমানোর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আয়ুবৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়নের অন্যান্য দিকগুলির উন্নতি সম্ভব। আয়বৃদ্ধিকে মানব উন্নয়নের কাজে লাগানোর ব্যাপারে তামিলনাড়ুর তুলনায় গুজরাতের মতো রাজ্য অনেক পিছিয়ে। গুজরাতের আয় যত বেড়েছে, সেই তুলনায় মানব উন্নয়ন অনেক কম।

অনেকেই বলেন, তামিলনাড়ুর এই জনপরিষেবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রনের ‘জনমনোরঞ্জক রাজনীতি’র দান। অভিনেতা হিসেবে এমজিআর মহিলামহলে আর গরিব মানুষদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন, তাঁকে প্রায়ই এঁদের রক্ষাকর্তার ভূমিকায় দেখা যেত। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি ১৯৮২ সালে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিল চালু করেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য জনপরিষেবারও ব্যাপক প্রসার ঘটান। রাজ্যের গরিব মানুষদের উপর এই উদ্যোগের বড় প্রভাব পড়েছিল।

কিন্তু তামিলনাড়ুর সরকারি নীতি বুঝতে গেলে কেবল এমজিআর-এর কাজ বিচার করলে চলবে না। এর পিছনে ছিল দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন। ষাটের দশকে খাদ্যের অভাব একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ডিএমকে দল ‘সস্তায় খাবার’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে লড়ে এবং বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রথম বার ক্ষমতায় আসে। ডিএমকে খুব তাড়াতাড়িই এক টাকার চাল-এর প্রকল্প বন্ধ করে দেয় বটে, কিন্তু তারা পরিবহণ ব্যবস্থা, শহরতলি ও গ্রামের রাস্তা এবং অন্যান্য পরিকাঠামোর যথেষ্ট উন্নতি সাধন করে। পরেও তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, এই ধরনের কাজগুলিকে গুরুত্ব দিয়েছে। এই কারণেই কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, দ্রাবিড় দলগুলি (ডিএমকে এবং এআইডিএমকে) তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে আসার পরই এই ধরনের সরকারি নীতি রূপায়ণ শুরু হয়। কথাটা মিথ্যে নয়, কিন্তু পূর্ণ সত্যও নয়। তামিলনাড়ুর জনমুখী নীতির পিছনে অন্য ঐতিহাসিক কারণও আছে।

যেমন, ‘শিক্ষার জনক’ অভিধাটি দ্রাবিড় দলের কোনও মুখ্যমন্ত্রী পাননি, পেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা কামরাজ নাদার। ১৯৫৪ থেকে ’৬৩ তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ে বামপন্থী কমিউনিস্ট পার্টি এবং দক্ষিণপন্থী স্বতন্ত্র পার্টি রাজ্যের উন্নতির জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার নীতি প্রস্তাব করেছিল, তাঁদের প্রভাবশালী নেতারা নিজেদের মতামতের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছিলেন। কামরাজ মধ্যপন্থায় হাঁটেন। তিনি ছিলেন বেলাগাম শিল্পায়নের বিপক্ষে, আবার কমিউনিস্টদের চরমপন্থী দাবিও তিনি মেনে নেননি। তিনি বলেছিলেন, জনপরিষেবার কথা মনে রেখে বাস্তববাদী উন্নয়নের নীতি তৈরি করতে হবে। তাঁর মতে শিল্পায়ন নিশ্চয়ই জরুরি এবং সেখানে বেসরকারি উদ্যোগের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে, কিন্তু আয়বৃদ্ধির ফলে প্রাপ্ত সম্পদ কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনে কী ভাবে উন্নতি আনা যায়, সে জন্য যথাযথ সামাজিক নীতি জরুরি। তাঁর আমলে বিদ্যুদয়ন, রাস্তাঘাট, কৃষি ও অন্যান্য পরিকাঠামোয় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেগুলোর চাহিদা আজও একই রকম প্রবল। একই সঙ্গে, তিনি সবার জন্য স্কুলের পড়াশোনা, স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করেন, এই সব পরিষেবা যাতে সমস্ত গ্রামের সকলের কাছে পৌঁছয় সে দিকে বিশেষ নজর দেন।

বলা যেতে পারে, তামিলনাড়ুর ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণের ভিত্তিটি স্থাপন করেছিলেন কামরাজ। তিনি প্রাথমিক জনপরিষেবার কথা মাথায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সামাজিক উন্নতির ওপর সমান জোর দিয়েছিলেন। দ্রাবিড় দলগুলি পরে তাঁর এই নীতি মেনে চলে এবং লক্ষ্য রাখে যাতে এই পরিষেবা সমস্ত গ্রামবাসীর কাছে পৌঁছে যায়।

আরও একটা কথা মনে রাখা দরকার। ১৯৫৪ সালে কামরাজ যখন মুখ্যমন্ত্রী হলেন, তার আগেই দ্রাবিড় দলগুলি সবার জন্য শিক্ষা ও অন্যান্য পরিষেবাকে তাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য করে তুলেছিল। কামরাজের ঠিক আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী। তিনি জাত-ভিত্তিক শিক্ষা চালু করেছিলেন। সেই ব্যবস্থায়, সকালে সবাইকে একই শিক্ষা দেওয়া হত, আর বিকেলে বৃত্তিশিক্ষা জাতিগত বৃত্তি অনুসারে বৃত্তিশিক্ষা— যেমন, যার বাবা কুমোরের কাজ করেন তাকে কুমোরের কাজ শেখানো। এই নীতির বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ হয়, রাজাজি পদত্যাগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কামরাজ সর্বজনীন শিক্ষাকে বাস্তব করে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। শিক্ষাকে সর্ব স্তরে পৌঁছে দিয়ে তিনি দ্রাবিড় আন্দোলনের চাহিদাকে গুরুত্ব দেন, যে আন্দোলন তৈরি হয়েছিল ত্রিশের দশকে বা তারও আগে।

কামরাজের উপর বামপন্থী দলগুলিরও যথেষ্ট চাপ ছিল। ১৯৫২ সালের নির্বাচনে ওই অঞ্চলে কমিউনিস্ট পার্টির ফল খারাপ হয়নি। তবে কেবল নির্বাচনের ফল দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব বোঝা যাবে না। তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন এক মহাশক্তি, কমিউনিস্ট মতাদর্শ দুনিয়া জুড়ে প্রভাব বিস্তার করছে। এ দেশে কমিউনিস্টরা দরিদ্রদের মঙ্গলের দাবিতে নিরন্তর আন্দোলন চালাচ্ছিলেন, শ্রেণিস্বার্থের ভিত্তিতে কংগ্রেসের নীতির তীব্র সমালোচনা করছিলেন। তাঁদের জনপ্রিয়তা ও তীক্ষ্ন সমালোচনার মুখোমুখি হয়ে কামরাজের পক্ষে সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে কোনও কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। কামরাজ কমিউনিস্টদের প্রস্তাবিত নীতি প্রয়োগ করেননি বটে, কিন্তু গরিবদের মন জয় করার জন্য নীতি রূপায়ণ না করে তাঁর উপায় ছিল না, সে জন্যই তিনি জনপরিষেবা প্রসারের পথ বেছে নেন।

অন্য কিছু আন্দোলনের অবদানও অনস্বীকার্য। যেমন, মেয়েদের কাছে পরিষেবা পৌঁছনোর দাবিতে লাগাতার নারী আন্দোলন বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। এই ইতিহাস খেয়াল না রাখলে আমরা বুঝতে পারব না, তামিলনাড়ুতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষার হার বেশি কেন, বা জনস্বাস্থ্য পরিষেবায় এত বেশি মহিলা ডাক্তার কাজ করেন কেন? মহিলারা জনপরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান হোতা, আবার পরিষেবাগুলি থেকে তাঁরাই সবচেয়ে উপকৃত হন।

আবার দলিতরা জাতপাত, অস্পৃশ্যতা এবং তাঁদের চরম দারিদ্র দূর করার জন্য ক্রমাগত আন্দোলন করে গেছেন, ফলে এই সমস্যাগুলি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কোনও দলের পক্ষেই এগুলিকে উপেক্ষা করা সম্ভব হয়নি। দলিত আন্দোলনের ইতিহাস থেকে একটি দৃষ্টান্ত দিই। ১৯২৩ সালে মাদ্রাজের দলিত নেতারা এক দূরদর্শী আবেদনপত্র তৈরি করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, দলিত সমাজে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য অবৈতনিক শিক্ষা, বৃত্তি, বিনা খরচে বইপত্র, খাওয়ার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য আয়োজন করা জরুরি, তা না হলে দলিত শিশুদের পক্ষে লেখাপড়া শেখা কার্যত অসম্ভব। এই দাবিগুলি ক্রমশ পূরণ করা হয়েছে। সবাই যাতে তার সুযোগ পান, সে ব্যাপারে দলিত আন্দোলন ধারাবাহিক ভূমিকা পালন করে গেছে।

এক কথায় বলা চলে, তামিলনাড়ুর উন্নয়ন নীতির পিছনে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও আন্দোলনের অবদান আছে: কমিউনিস্ট, দক্ষিণপন্থী, নারী আন্দোলন, দূরদর্শী দলিত নেতা ও কর্মীরা এবং অন্য অনেকে। প্রত্যেকে নানা দাবি তুলেছেন, অন্যদের মত ও পথের ঘাটতি দেখিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের রাজনীতিতে দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরই তীব্র, তাই রাজনৈতিক দলগুলি এই বিভিন্ন মত ও দাবির প্রতি নজর দিতে এবং বাস্তবোচিত নীতি ও প্রকল্পের সাহায্যে তার মোকাবিলা করতে বাধ্য হয়েছে। কামরাজের সময় থেকেই উন্নয়নের নীতি শিল্পায়ন ও জনপরিষেবা সরবরাহের দ্বৈত ভিত্তিতে চালিত হয়েছে। জনজীবনে তার প্রভাব বিপুল।

তামিলনাড়ুর অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এখানে একটা বিষয়ের কথা বিশেষ ভাবে বলতে চাই। সমাজে উন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ও আদর্শ থাকে, সেই অনুসারে নানা গোষ্ঠী নানা ধরনের নীতি অনুসরণের প্রস্তাব দেয়। প্রত্যেকটিতেই মূল্যবান পরামর্শ থাকে, আবার সীমাবদ্ধতাও থাকে। যেমন, বামপন্থীরা লাগাতার অসাম্য দূর করা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন, জনকল্যাণে সরকারকে সরাসরি বড় ভূমিকা নিতে বলেন। অন্য দিকে, দক্ষিণপন্থীরা বিভিন্ন সম্পদ দক্ষ ভাবে কাজে লাগিয়ে আয়বৃদ্ধির উপর জোর দেন এবং দাবি করেন, নাগরিকদের অর্থনৈতিক কাজকর্মে সরকার যেন অহেতুক নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করে।

আমি মনে করি, সব মতই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা সমাজের পক্ষে ভাল। আবার, প্রতিটি মতের সীমাবদ্ধতাও বিচার করা দরকার। তামিলনাড়ুর অভিজ্ঞতা জানায়, বিভিন্ন মত যাচাই করে বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে নীতি রচনা করা সম্ভব। সেটাই বোধহয় সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রাম অন লিবারেশন টেকনোলজি’তে কর্মরত

vivek srinivasan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy