প্রতীকী চিত্র।
এ বার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-এর একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রশ্নপত্রের কাঠামোয় বদল আনা হবে। জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পরিবর্তিত হবে এই দুই শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। এখন থেকে পরীক্ষার্থীদের লিখিত বড় প্রশ্নের চেয়ে দক্ষতা নির্ভর অবজেক্টিভধর্মী প্রশ্নের উপর বেশি উত্তর দিতে হবে। এই মর্মে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বোর্ডের তরফে।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন/ ঘটনা নির্ভর বা ‘কেস বেসড’ প্রশ্ন/ ‘সোর্স বেসড ইন্টিগ্রেটেড’ প্রশ্ন বা অন্যান্য যে কোনও ধরনের ‘কম্পিটেন্সি’ বা দক্ষতা নির্ভর প্রশ্নের সংখ্যা ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। অন্য দিকে, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন/ রচনাধর্মী বড় প্রশ্ন-এর মতো ‘কনস্ট্রাক্টেড রেসপন্স’ প্রশ্নের সংখ্যা ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হবে। তবে বাকি ২০ শতাংশ ‘সিলেক্ট রেসপন্স টাইপ’ প্রশ্ন অপরিবর্তিতই থাকছে। প্রশ্নপত্রের এই নয়া ফরম্যাট ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
হঠাৎ প্রশ্নপত্রের কাঠামোয় এই পরিবর্তন কেন? সিবিএসই-এর তরফে জানানো হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে চলে আসা মুখস্থ বিদ্যার অভ্যাস কাটিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সৃজনশীল, সমালোচনামূলক বা বিশ্লেষণমুখী এবং পদ্ধতিবদ্ধ চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য এই পদক্ষেপ। তবে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, নবম এবং দশম শ্রেণির পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বোর্ডের তরফে।
অন্য দিকে, সম্প্রতি ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-এর তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইগুলি এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাবে পড়ুয়ারা। ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন পাঠ্যক্রমের উপর এই পাঠ্যবইগুলি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির বইগুলি চলতি মাসে এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বইগুলি মে মাসের মাঝামাঝি থেকেই পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy