সায়ন প্রধান, ভাস্কর কুমার এবং অর্ণব পাতি। (বাঁ দিক থেকে)। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্য থেকে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম ২০ জনের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন। সায়ন প্রধান, ভাস্কর কুমার এবং অর্ণব পাতি। গত ১৩ জুন প্রকাশিত হয়েছে স্নাতক স্তরে ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র তরফে নিট ইউজি (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট)-র ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৭ মে পরীক্ষা হয়েছিল নিট ইউজি-র। ২০ লক্ষের বেশি পড়ুয়া বসেছিলেন পরীক্ষায়। উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় ১১ লক্ষ ৪৫ হাজারের বেশি।
সর্বভারতীয় স্তরে দ্বাদশ এবং রাজ্য থেকে প্রথম হয়েছেন কলকাতার সায়ন। চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম হয়েছিলেন তিনি। যোধপুর পার্কের পাথফাইন্ডার এইচএস পাবলিক স্কুলের ছাত্র নিট-ইউজিতে ৭২০-র মধ্যে পেয়েছেন ৭১৫ নম্বর। সর্বভারতীয় স্তরে দ্বাদশ হয়েছেন তিনি। ভাল ফলের কারণস্বরূপ, এনসিইআরটি-র বই খুঁটিয়ে পড়া, সতর্ক ভাবে উত্তর লিখে আসার উপরই জোর দিয়েছিলেন সায়ন। পাশাপাশি, একাদশ শ্রেণি থেকেই নিট-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছিলেন। এমবিবিএস পড়ার পর কার্ডিওলজি নিয়ে এমডি করতে চান কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা সায়ন।
রাজ্য থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন শিলিগুড়ির ভাস্কর। ৭১৫ পেয়ে মেধাতালিকায় ১৭ নম্বরে রয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। সায়নের মতো তিনিও এনসিইআরটি-র বই খুঁটিয়ে পড়েছেন। কোচিং থেকে যে স্টাডি মেটিরিয়ালস দেওয়া হয়েছে সেগুলি নিয়মিত সমাধান করা, মক টেস্ট দেওয়া, রুটিন মেনে পড়াশোনার জন্যই এমন ফল এসেছে বলে মনে করেন অর্ণব। ভাল ফল হবে ভেবেছিলেন, কিন্তু রাজ্য থেকে দ্বিতীয় হবেন আশা করেননি। তাঁর এই সাফল্যে খুশি পরিবারের সকলেও। এমবিবিএস পড়ার পর অপথ্যালমোলজি পড়তে চান।
সর্বভারতীয় স্তরে মেধাতালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছেন বাঁকুড়ার অর্ণব। তাঁর নম্বর ৭২০ এর মধ্যে ৭১৫। শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে ভাল বাসেন অর্ণব। ভোরেই পড়তে ভালবাসেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত যোগা করেন। ভাল ফল আনতে গেলে শৃঙ্খলার সঙ্গে রুটিন মেনে চলার উপরেই জোর দিয়েছেন তিনি। সায়নের মতো অর্ণবও ভবিষ্যতে এমবিবিএস পড়ার পর কার্ডিওলজি নিয়ে এগোতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy