প্রতীকী চিত্র।
দেশের স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আগামী তিন বছরের মধ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় সমস্ত বিষয়ের পাঠ্যসামগ্রী ডিজিটাল মাধ্যমে যোগান দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবারই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
পড়ুয়াদের মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির জন্যই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি), অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই), ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস) এবং ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (ইগনু) এবং ‘ইনস্টিটিউট অফ ন্যাশনাল ইম্পর্ট্যান্স’-এর তকমা পাওয়া আইআইটি, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং এনআইটিগুলিকেও কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউজিসি, এআইসিটিই এবং স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই বিষয় নিয়ে রাজ্যস্তরের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে আলোচনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ মেনে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বস্তরে বহু ভাষার ব্যবহার বা মাল্টিলিঙ্গুয়ালিজ়মের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে ভাষা যাতে কোনও ভাবেই বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এবং মাতৃভাষায় জ্ঞান লাভ করে যাতে অভিনব ভাবনার পরিসর আরও বৃদ্ধি পায়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
কেন্দ্রের তরফে আশা করা হয়েছে, এই পদক্ষেপ ভারতের বহুভাষার ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং দেশের বিকাশে সাহায্য করবে। শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিভিন্ন শাখার বই অনুবাদের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সাহায্য নেওয়া হয়েছে ‘অনুবাদিনী’ এআই অ্যাপ্লিকেশনের। যা ‘ই-কুম্ভ’ পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়ারা ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য দিকে, স্কুল স্তরের বেশ কিছু বিষয়ও ‘দীক্ষা’ পোর্টালে মোট ৩০টি ভাষায় পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বর্তমানে ১৩টি ভাষায় নিট, জয়েন্ট এন্ট্রান্স, কুয়েট-এর মতো যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy