মাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষার টিপস। প্রতীকী ছবি।
২০২৩-এর মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় চলেই এসেছে। শেষ মুহূর্তে অঙ্কের কোন বিষয়ের উপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন, সেই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের গণিত বিভাগের সহ শিক্ষক কল্যাণরতন মান্না।
জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত অঙ্কের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। তাই এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য না করে ভালবেসে অভ্যাস করলেই তা জলের মতো সহজ হয়ে ওঠে এবং ভাল নম্বর পেতে কোনও রকম সমস্যা হয় না। মনে রাখতে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের প্রাথমিক ভিত্তি হল গণিত।
অঙ্কের সূত্র মনে রাখার কৌশল:
সরল সুদ, চক্রবৃদ্ধি সুদ, সমহার বৃদ্ধি/ হ্রাস, গড়, মধ্যমা, সংখ্যাগুরুমান নির্ণয়ের সূত্রগুলো লেখার জন্য আংশিক নম্বর দেওয়া হয়। তাই প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সূত্রগুলো লেখার অভ্যাস কর। তবে সূত্রগুলো অঙ্কের মধ্যে ব্যবহার করে বারে বারে অনুশীলন করলে বেশি মনে থাকবে।
যে বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার
১) কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখতে পারলেই গণিতে একশো শতাংশ নম্বর পাওয়া যাবে। এখন টেস্ট পেপার থেকে অঙ্ক অভ্যাস করা দরকার। যদিও শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গণিত প্রকাশ বইয়ের অঙ্ক অভ্যাস করে পুরো নম্বর পাওয়া যায়।
২) উত্তরপত্রে কোনও অঙ্ক পুরোটা না করতে পারলেও আংশিক নম্বর পাওয়া সম্ভব। তাই কোনও অঙ্ক যতটা কষা হয়েছে ততটাই রেখে দেওয়া উচিত। আবার আটকে যাওয়া অঙ্কে বেশি সময় নষ্ট না করে পরের অঙ্কে চলে যাওয়া উচিত।
৩) যুক্তিপূর্ণ যে কোনও পদ্ধতিতে অঙ্ক করা যায় যদি না প্রশ্নপত্রে কোনও বিশেষ পদ্ধতির উল্লেখ থাকে। পাটিগণিতের অঙ্ক বীজগাণিতিক পদ্ধতিতেও করা যাবে।
৪) প্রতিটি সমাধানের শেষে উত্তর লিখবে। প্রয়োজনীয় একক থাকলে একক সহ উত্তর লেখা বাঞ্ছনীয়।
৫) প্রতিটি স্তরে ‘=’ বা, ‘অথবা’ এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। এই চিহ্নগুলি না লেখা বা উল্টো লেখার জন্য এক নম্বর কেটে নেওয়া হয়।
৬) উপপাদ্য সর্বদা বামদিকের পাতা থেকে শুরু করবে যাতে প্রমাণ লেখার জন্য পাতা ওল্টাতে না হয়। উপপাদ্য ছবি মিলিয়ে বারে বারে লিখে অনুশীলন করতে হবে।
৭) রাফ ওয়ার্ক অঙ্কের ডানদিকে লাইন টেনে দেখাতে হবে।
8) অঙ্কের দাগের ক্রমানুসারে উত্তর করতে বলা হলেও যে অঙ্ক সহজ মনে হবে সেগুলি দাগ নম্বর-সহ আগে করা ভাল। তবে কোনও একটি দাগের সবক’টি প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে করলে ভাল হয়।
৯) অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নের উত্তর সম্পূর্ণ বাক্যে না দিয়ে কেবলমাত্র সঠিক উত্তর লিখলেই হবে।
১০) অজ্ঞাত রাশি সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে।পরীক্ষার সময় সহজপাচ্য খাওয়া ভাল। রাতে জেগে না থাকা ভাল। বিশেষত গণিত পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy