Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ক্যান্সার-যুদ্ধে হার, চলে গেলেন সৈফুদ্দিন

মারণ-রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন প্রাক্তন সাংসদ সৈফুদ্দিন চৌধুরী। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে রবিবার রাতে মৃত্যু হল সিপিএমের এই প্রাক্তন নেতার। ক্যানসারে আক্রান্ত সফি বেশ কিছু দিন ধরেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত কয়েক দিনে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় রাজনীতি যে এক সুভদ্র নেতা এবং ভাল মানুষকে হারাল, এই বিষয়ে সফির কাছের মানুষ বা প্রতিপক্ষ দল, কারওরই কোনও দ্বিমত নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৫৭
Share: Save:

মারণ-রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন প্রাক্তন সাংসদ সৈফুদ্দিন চৌধুরী। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে রবিবার রাতে মৃত্যু হল সিপিএমের এই প্রাক্তন নেতার। ক্যানসারে আক্রান্ত সফি বেশ কিছু দিন ধরেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত কয়েক দিনে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় রাজনীতি যে এক সুভদ্র নেতা এবং ভাল মানুষকে হারাল, এই বিষয়ে সফির কাছের মানুষ বা প্রতিপক্ষ দল, কারওরই কোনও দ্বিমত নেই।

সিপিএমে থেকেই দলের ভাবনাচিন্তায় সংস্কার চেয়েছিলেন সফি। দলের সঙ্গে বিবাদের জেরে তিনিই সম্ভবত সাম্প্রতিক কালে একমাত্র নেতা, যাঁর সঙ্গে সিপিএমের ‘সম্মানজনক বিচ্ছেদ’ হয়েছিল। ২০০০ সালে সিপিএম ছাড়ার পরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আর এক সিপিএম নেতা সমীর পূততুণ্ডকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন নতুন দল পিডিএস। সেই থেকে এই ৬২ বছর বয়সে মৃত্যু পর্যন্ত সফিই ছিলেন পিডিএসের রাজ্য সভাপতি। শুরু করেছিলেন সিপিএমে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে। সুবক্তা সফিকে ১৯৮০ সালেই কাটোয়া থেকে লোকসভার টিকিট দিয়ে তরুণ বয়সেই সংসদে পাঠিয়েছিল সিপিএম। মোট চার বার বর্ধমানের ওই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। তরুণ বয়সেই সদস্য হয়েছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিরও। দল ছেড়ে দেওয়ার পরেও সিপিএমের নেতাদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কে আঁচ পড়েনি। মাত্র দু’দিন আগেই যেমন দিল্লির হাসপাতালে তাঁকে দেখে এসেছিলেন সিপিএমের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান। সফির অকাল মৃত্যুতে সিপিএম শিবিরে যেমন শোক নেমে এসেছে, ব্যক্তিগত ভাবে মর্মাহত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তেমনই শোকপ্রকাশ করেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, অত্যন্ত ভদ্র ও নরম স্বভাবের মানুষ ছিলেন সফি।

শোকের আঘাত সামলেই আপাতত শেষ যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সফির নিকটজনেরা। পিডিএসের রাজ্য সম্পাদক সমীরবাবু জানিয়েছেন, সম্ভবত আজ, সোমবার সফির দেহ কলকাতা হয়ে বর্ধমানের মেমারিতে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। তাঁর অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে সফির মা দিল্লিতেই ছিলেন। সেখানেই আছেন প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী রুখসানা ও তাঁদের দুই ছেলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

saifuddin chowdhury pds cpm leader cancer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE