নিহত বিএসএফ জওয়ানের দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।
একই দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর দু’বার মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হল পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীর। আহত হয়েছেন সাত জওয়ান। সোমবার সকাল এবং বিকেলের দিকে ঘটনা দু’টি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের কাঁকের ও দান্তেওয়াড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন বিকেলে কিরন্ডুল থানা এলাকার চোলনার-কিরন্ডুল রাস্তায় অ্যান্টি-ল্যান্ডমাইন গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন রাজ্য পুলিশের ১১ জন জওয়ান। ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ চলেছে। এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চোলনার ক্যাম্প থেকে রওনা দিয়েছিলেন জওয়ানরা। চোলনার-কিরন্ডুল রাস্তায় জওয়ানরা টহল দেওয়ার সময়ই মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জওয়ানের।
অন্য দিকে, এ দিন ভোরে কাঁকের জেলার বান্দে থানা এলাকায় ছোটে ভাইথিয়া বিএসএফ ক্যাম্প লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালায় মাওবাদীরা। তাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হন রাজকুমার সোলাঙ্কি নামে বিএসএফের এক হেড কনস্টেবল। বান্দে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।
রবিবারেই কাঁকেরের বারবাসপুরে এক লৌহখনিতে গিয়ে কর্মীদের শাসিয়ে আসে মাওবাদীরা। জ্বালিয়ে দেয় ১৭টি ট্রাক। তার পরই তাদের খোঁজে অভিযানে নামে রাজ্য পুলিশ। এলাকা জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়।
গত শুক্রবার মাওবাদীদের খোঁজে সুকমার দোরনাপাল-চিন্তাগুম্ফা এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) ৭৬ জন জওয়ান। সেই সময়ই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। অতর্কিত হামলার পাল্টা জবাব দেন এসটিএফ জওয়ানরাও। নিহত হন ৭ জওয়ান, আহত হন ১২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy