—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোটের মুখে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে মালদহে পথে নামার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মতুয়াদের আর এক পক্ষ তথা বিজেপি-পন্থীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) শর্ত নিয়ে এখনও ‘বিভ্রান্ত’ বলে দাবি। নাগরিকত্ব পেতে কী-কী শর্ত পূরণ করতে হবে, সে বিষয় তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়। প্রকারান্তরে তারাও নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাইছেন। তাঁদের দাবি, সিএএ-বিভ্রান্তি দূর করতে শনিবার বিজেপির তরফে কলকাতার সল্টলেকে বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে তাঁরা যোগ দিচ্ছেন।
‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’-এর মালদহ জেলার সদস্য, বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের রাজ্য কমিটি সদস্য ঠাকুরদাস সরকার বলেন, ‘‘আমরা ৫০-৬০ বছর ধরে এ দেশে বাস করছি। ছেলেমেয়েদের এখানেই জন্ম। তাদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সবই রয়েছে। তারা সরকারি চাকরি করছে। কিন্তু তাও নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করতে হবে কি না, সেলফ ডিক্লারেশন দিলেই হবে কি না, সে বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। শনিবার কলকাতার সল্টলেকে বিজেপির তরফে মতুয়াদের নিয়ে সিএএ সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আশা করছি, সে বৈঠক থেকে বিভ্রান্তি দূর করা হবে।’’
মালদহের গাজল, বামনগোলা, হবিবপুর ও পুরাতন মালদহ ব্লকে বেশির ভাগ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। মতুয়াদের সংগঠনগুলির দাবি, জেলায় তাদের সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি। সারা দেশে সিএএ কার্যকর হওয়ার পরে, মতুয়াদের একাংশে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও, অনেকে উদ্বেগে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জেলার মতুয়া মহাসঙ্ঘ নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর এক পক্ষ , ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে। সংগঠনের গাজলের এক নেতা বলেন, ‘কয়েক দশক এ দেশে বাস করছি। আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড যেমন রয়েছে তেমনই সরকারি সুবিধা পাচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে নাগরিকত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বা নাগরিকত্বের শর্ত পূরণের জন্য সেলফ ডিক্লারেশন দেওয়ায় বিভ্রান্তি আছে। যে কোনও একটি নথি দিয়ে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব যদি দেওয়া যায়, তবে জটিলতা থাকে না। আদতে কী-কী শর্ত রয়েছে সেগুলিও অজানা।’’
মতুয়া মহাসংঙ্ঘের মালদহ জেলা সম্পাদক কাশীশ্বর মৈত্র বলেন, ‘‘আমরা শুরু থেকেই নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি জানিয়েছি এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের কাছে যে সমস্ত নথি রয়েছে— যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, সেই একটি কার্ডের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের কার্ড বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy