অনুরাগ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের মানুষ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম পাওয়ার দাবিদার বলে মানলেন এবং ভোটের আগে এ নিয়ে আশ্বাসও দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ভোট-বিধির কারণে তিনি ঘোষণা করতে না পারলেও পাহাড়, সমতলের এই অঞ্চলের মানুষকে তিনি সেই আশ্বাস দিতে পারেন বলে জানালেন। সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন খাপরাইল এলাকায় খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, ব্যবসায়ী সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করেন অনুরাগ। ছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। তাঁদের সামনে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ শিলিগুড়িতে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের দাবি তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানান। সেখানে অনুরাগ বলেন, ‘‘এখানকার মানুষ এর দাবিদার। সাংসদ, বিধায়ক যুবক হলে তো খেলার উন্নয়নে কাজ করবেনই। আশ্বাস দিতে পারি। এখন ঘোষণা তো করতে পারি না।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে লোকসভা ভোটের আগে চর্চা শুরু হয়েছে। কখনও ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কখনও আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দাবিতে এর আগে একাধিক বার সরব হয়েছেন শিলিগুড়ির ক্রীড়াপ্রেমীরা। তা নিয়ে রাজনীতিও কম হয়নি। শহরে একমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের বেহাল অবস্থা অনেক দিন থেকে। তা সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন ক্রীড়াপ্রেমীদের অনেকেই। নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম চেয়ে পথে নেমেছেন অনেক ক্রীড়া সংগঠক। রাজ্যের শাসক দলের তরফে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে পুরসভার তরফে। এই স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকবার প্রশাসনিক সভা হয়েছে। তাতে মাঠ নষ্টের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
শঙ্করের দাবি, খেলার মাঠে মেলা কিংবা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা প্রয়োজন। রাজ্যের সরকারকে স্টেডিয়াম সংস্কারের দাবি এবং নতুন স্টেডিয়াম তৈরির দাবিও জানিয়েছেন। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া, কিছুই মেলেনি। শঙ্করের দাবি, ‘‘উত্তরবঙ্গে একটা আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম প্রয়োজন। রাজ্য, কেন্দ্র উভয়কেই জানিয়েছি। যারাই করুক স্বাগত। কিন্তু রাজ্যের সরকার রাজনীতি বেশি করেছে। অন্য অনেক রাজ্যের বিরোধী সরকার থাকলেও এমন রাজনীতি হয় না। স্টেডিয়াম তৈরিতে জমি প্রয়োজন। সেটা রাজ্যেরই দেওয়ার কথা। এমন নানা অসহযোগিতা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে একটা স্টেডিয়াম না থাকায় আক্ষেপ তো রয়েছেই। সেটাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছি।’’
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের বক্তব্য, ‘‘ভাঁওতা ছাড়া, কিছুই নয়। ভোট এলেই ভোট-পাখিদের উত্তরবঙ্গ নিয়ে দরদ দেখা যায়। স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে সাজবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy