Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

আবাসে ‘দুর্নীতি’, হাতিয়ার লকেটের

মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা সাকিলা বিবি আবাসের ঘর না পেলেও বরাদ্দ টাকা কার অ্যাকাউন্টে গেল, এ প্রশ্নে বৃহস্পতিবারই সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

লকেট চট্টোপাধ্যায়।

লকেট চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ০৯:১৮
Share: Save:

আবাস যোজনার টাকা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্রের সংঘাত নতুন নয়। বিজেপির দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’তেও দুর্নীতি হয়েছে। হিসেব না দেওয়ায় ওই খাতে বাংলাকে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। তৃণমূল অবশ্য সেই দাবি মানেনি। এ বার ধনেখালিতে আবাস দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করলেন হুগলির বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

দাদপুরের সাটিথান পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা সাকিলা বিবি আবাসের ঘর না পেলেও বরাদ্দ টাকা কার অ্যাকাউন্টে গেল, এ প্রশ্নে বৃহস্পতিবারই সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এ দিন সেই প্রতিবেদন হাতে নিয়ে লকেট চুঁচুড়ায় সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তোলেন, ‘‘সাকিলার পাশাপাশি ওই পঞ্চায়েত এলাকায় অনেকের সঙ্গেই একই ঘটনা ঘটেছে।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

সরকারি নথি বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মোট ৩ কিস্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন সাকিলা। যা দিয়ে তিনি পাকা বাড়িও করে ফেলেছেন! কিন্তু বাস্তবে সাকিলা একটি টাকাও পাননি। তাই ঘরও হয়নি। সম্প্রতি পঞ্চায়েত থেকে আবাস যোজনার বাড়ি দেখতে আসেন প্রতিনিধিরা। তখনই বরাদ্দের বিষয়টি জানতে পারেন সাকিলা। তড়িঘড়ি স্বামীকে নিয়ে তিনি যান স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ঝুমা চক্রবর্তীর বাড়িতে। অভিযোগ, ঝুমা তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেননি। এরপর গত ২৪ মার্চ সাকিলা দাদপুর থানায় ঝুমার বিরুদ্ধে ওই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন। ঝুমা অভিযোগ মানেননি।

বৃহস্পতিবার ধনেখালির রবি কর্মকার নামে আবাসের এক উপভোক্তার টাকা তৃণমূল নেতা সুকুমার ঘোষের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে দাবি করেন লকেট। সুকুমার সাটিথান পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অম্বালিকার স্বামী। হাতে থাকা নথি দেখে লকেট আরও কয়েকটি উদাহরণ দেন। লকেটের কটাক্ষ, ‘‘সুকুমার-সহ যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তাঁরা সবাই ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের ডান হাত, বাঁ হাত, ডান পা, বাঁ পা।’’

লকেটের অভিযোগ নিয়ে এ দিন সে ভাবে কিছু বলতে চাননি অসীমা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁর (লকেট) বিরুদ্ধে আমার কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। ও নিজেই দুর্নীতিবাজ। ওঁকে নিয়ে কিছু বলব না।’’ সুকুমারকে ফোন করা হলে এ দিন অম্বালিকা ফোন ধরেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি। আমি এবং আমার স্বামী আবাস দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। সব অভিযোগ মিথ্যা। বিজেপি চক্রান্ত করছে।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE