কালনা শহরে তৃণমূল প্রার্থীর মিছিল। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।
রবিবারের প্রচারে কালনা শহরে এলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার। একটি মিছিলও হয়। তবে যে শহরে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতেই ক্ষমতায় রয়েছে শাসক দল সেখানে মিছিল করতে লোক আনতে হয় কালনা বিধানসভার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে, এমনই দাবি করেছেন দলেরই একাংশ। যদিও নেতারা এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে চাননি।
গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে কালনা শহরে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে পুরভোটে ১৭টি ওয়ার্ডই তাদের দখলে আসে। বিরোধীরা পুরভোট নিয়ে সন্ত্রাস, বুথ দখলের ভুরি ভুরি অভিযোগ তোলেন। তবে আধিপত্য থাকলেও পুরবোর্ডে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বার বার সামনে এসেছে। অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এ দিন বিকেল ৪টে থেকে প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। মিছিল শুরু হতে আরও আধ ঘণ্টা দেরি হয়। তার আগে সাতগাছিয়া, কল্যাণপুর, হাটকালনা, কৃষ্ণদেবপুর, বাঘনাপাড়া এলাকা থেকে মোটর ভ্যান-সহ নানা যানবাহনে এসে পৌঁছন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মিছিল শুরু হয় পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে। হাজার দুয়েক কর্মী সমর্থককে নিয়ে প্রার্থীর সঙ্গে মিছিলে হাঁটেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ, যুব তৃণমূলের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত, উপপুরপ্রধান তপন পোড়েলরা। সিদ্ধেশ্বরী মোড় হয়ে সন্ধ্যায় মিছিল পৌছায় ১০৮ শিবমন্দির চত্বরে। সেখানে পুজোও দেন প্রার্থী। ঘুরে দেখেন রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের প্রতাপেশ্বর মন্দির, লালজি মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির। সেখানে আসা পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে ভোটের প্রচারও করেন।
তৃণমূলের এক নেতার দাবি, ‘‘পুরভোটে আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছিল। ভেবেছিলাম অনেক উন্নয়ন করে মানুষের মন জয় করবে পুরবোর্ড। তা হয়নি। উল্টে পুরসভা এমন কিছু কাজ করেছে যার মাসুল দিতে হচ্ছে দলকে। শহরে মিছিল করার মতো লোক নেই বলে বাইরে থেকে লোক আনতে হচ্ছে।’’
যদিও কালনার বিধায়ক তথা তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবপ্রসাদ বাগের বক্তব্য, প্রথম দিনেই প্রার্থীর সঙ্গে প্রচুর দলীয় কর্মী সমর্থক হেঁটেছেন। প্রচার যত এগোবে, উন্মাদনা তত বাড়বে। মিছিল শেষে প্রার্থীকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর দিদি এক সময় কাটোয়ার গাজীপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। আমাদের প্রার্থী রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। ঘরের মেয়ে। এটাই আমাদের স্লোগান।’’
আর শর্মিলা বলেন, ‘‘চিকিৎসা, ছাত্র পড়ানোর বাইরে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ভোটে জিতলে মানুষের অভাব অভিযোগ দূর করার চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy