কান্দির হাসপাতালে আহতেরা। — নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোট শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। রাজনৈতিক হিংসায় আবার উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ভোটের আগে বেশ কয়েক জন কংগ্রেস কর্মীকে দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আক্রমণ বলে অভিযোগ আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার হিজল নতুন গ্রাম এলাকায় বেশ কয়েক জন কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয়। মত্ত অবস্থায় তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে জনা দশেক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে দল পরিবর্তন করে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে তাঁরা রাজি না হওয়ায় হামলা।
পুলিশ সূত্রে খবর, কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে আট থেকে ১০টি সকেট বোমা ছোড়ার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বোমার ঘায়ে জখম হয়েছেন চার কংগ্রেস কর্মী। এর মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। আহত কংগ্রেস কর্মীদের হাসপাতালে আসতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আহত এক কংগ্রেস কর্মী বলছেন, ‘‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। আমরা কংগ্রেস ছাড়তে চাইনি। তাই বোমা, বন্দুক, বাঁশ, লাঠি নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আমিনুল শেখ বলছেন, ‘‘ভোটের আগে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে পরিকল্পিত নাটক করছে কংগ্রেস। গ্রাম্য বিবাদে রাজনৈতিক রং লাগাতে চাইছে। এ ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy