আদিবাসী বাড়িতে পাত পেড়ে খেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রচণ্ড গরম। চড়া রোদ মাথায় নিয়ে বলাগড়ে প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাগড়ের একতারপুরের গাজিপাড়া আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন। তার পর আদিবাসীদের নাচে পা মেলালেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। মধ্যাহ্নভোজে তৃণমূল প্রার্থীর জন্য ছিল ভাত, শুক্তো, শাকভাজা, ডাল, পটলভাজা, আলুপোস্ত, আলু-পটলের তরকারি এবং রচনার ‘প্রিয়’ হুগলির দই। থালায় কলাপাতা দিয়ে সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয়েছিল রচনাকে। মাটির বারান্দায় বসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সারেন তিনি। কিন্তু, রচনার পাতে আলুপোস্ত দিতে ভুলে গিয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী। যেচেই সেই পদ নিলেন রচনা। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘আমি আলুপোস্ত খেতে খুব ভালবাসি।’’
খাওয়াদাওয়া সেরে রচনা বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা আইটেম ভালবেসে বানিয়েছে। খুব ভাল করে খেলাম।’’ আলুপোস্ত চেয়ে খাওয়া নিয়ে রচনা বলেন, ‘‘আমাকে দিতে ভুলে গিয়েছিল। আলুপোস্ত ভালবাসি। সবই খাই। সব বাঙালি খাবার। আর পোস্ত ছাড়া তো নিরামিষ খাবার অসম্পূর্ণ। আমি যদিও বাঙাল, ঘটি নই। তবুও আলুপোস্ত খেতে ভালবাসি।’’
রচনা জানান, মাটির দাওয়ায় বসে খাবার খেতে তাঁর অসুবিধা হয় না। কারণ তিনি যোগব্যায়াম করেন। সেই পরিচিত হাসি হেসে আবারও হুগলির দই খেয়ে প্রশংসা করেন তৃণমূল প্রার্থী। ভাল কোনটা? সিঙ্গুর না বলাগড়ের দই? পাক্কা রাজনীতিকের মতো রচনার জবাব, ‘‘আমি কি একটা জায়গার নাম বলে অন্য জায়গাকে দুঃখ দেব নাকি?’’
যাঁর বাড়ির মাটির দাওয়ায় বসে ভাত খেলেন তৃণমূল প্রার্থী, সেই ছবি মান্ডির কথায়, ‘‘আমাদের ঘর নেই। মাটির ঘরে বাস করছি। রচনা আমায় আশ্বস্ত করে বলেছেন, সব হয়ে যাবে। ঠাকুরের উপর ভরসা রাখো।’’ খাওয়াদাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আবারও প্রচার শুরু করেন রচনা। আদিবাসী পাড়ায় আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy