মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
লোকসভা ভোটে ভবানীপুরের কোনও ওয়ার্ডে হারলে চলবে না। সব ওয়ার্ড থেকেই বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়কে সম্মানজনক ব্যবধানে এগিয়ে দিতে হবে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সার্বিক ভাবে ভবানীপুর বিধানসভা থেকে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভাল ব্যবধানে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বসু। কিন্তু এ বারের ভোটে তৃণমূল কোনও ওয়ার্ড থেকে পিছিয়ে থাকতে নারাজ। এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমারের তরফ থেকে।
গতবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড ৮২ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড় ব্যবধানে মুখরক্ষা করেছিল তৃণমূল। সেই পিছিয়ে পড়া থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ শুরু করেছে ভবানীপুরের তৃণমূল। কারণ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। ওই ওয়ার্ডের ভোটার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। কিন্ত এ বার এই ওয়ার্ড তৃণমূলের কাছে সম্মানের বিষয়। কারণ এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি আবার সম্পর্কে মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। তাই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘আগে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির কয়েক জন কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু এ বারের পুরভোটে এক জনও কাউন্সিলর ওদের নেই। ভবানীপুরে ওদের প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এলেও, খুব বেশি লোক হচ্ছে না। আর পথসভাগুলিতেও বেশির ভাগ চেয়ার ফাঁকাই থাকছে। তাই এ বার আর ছয়টি ওয়ার্ড থেকে আর ওরা এগিয়ে যেতে পারবে না।’’ ওই তৃণমূল নেতার আরও যুক্তি, দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির প্রস্তুতি আমরাও দেখছি। তাদের প্রচার বা লড়াই করার ধরন দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, না আছে ওদের লড়াই করার প্রস্তুতি, না আছে সাংগঠনিক ক্ষমতা। তাই এ বার ভবানীপুরের কোনও ওয়ার্ড থেকে বিজেপি জিততে পারবে না। তবে হ্যাঁ আমরা তৈরি ওদের যে কোনও ধরনের রণকৌশলের জবাব দিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy