Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

বিজেপির প্রচারে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

রবিবার দুপুরে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে মহিষাদলে মহিলা মোর্চার প্রচার কর্মসূচি ছিল। সেখানে অভিজিতের পাশপাশি, হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী এবং সন্দেশখালির চার জন মহিলা।

মহিষাদলে শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

মহিষাদলে শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহিষাদল শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪০
Share: Save:

লোকসভা ভোটের মুখে সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ভোটের প্রাচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ‘অস্ত্র’ যে বিরোধী বিজেপি ব্যবহার করবে, তা সে সময়ই স্পষ্ট হয়েছিল। পরে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে বিরোধী দলনেতা-সহ একাধিক বিজেপি নেতার মুখে ঘুরে ফিরে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। এবার সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের ভোটের প্রচারের মঞ্চে হাজির করালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে মঞ্চ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিলাদের বার্তা দিয়ে নির্যাতিতাদের বলতে শোনা গেল, ‘‘রাজ্যে আর যেন সন্দেশখালি না তৈরি হয়। সে জন্য বটি, কাটারি হাতে নিয়ে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’’

রবিবার দুপুরে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে মহিষাদলে মহিলা মোর্চার প্রচার কর্মসূচি ছিল। সেখানে অভিজিতের পাশপাশি, হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী এবং সন্দেশখালির চার জন মহিলা। সভা মঞ্চের দ্বিতীয় সারিতে তাঁদের বসার বন্দোবস্ত করা হয়। পরে বক্তৃতা করেন এক নির্যাতিতা। তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। এদিন সন্দেশখালির ওই নির্যাতিতা বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে অনেক শেখ শাহাজাহান গজিয়ে উঠেছে। কিন্তু আপনারা আর দ্বিতীয় সন্দেশখালি হতে দেবেন না। মা -বোনেরা আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ধরে আক্রমণ করে ওই মহিলা বলেন, ‘‘একজন মহিলা হয়েও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রথমে মহিলাদের মান সম্মানকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। যাঁরা সন্ত্রাসবাদী, দেশদ্রোহী কার্যকলাপে যুক্ত, তাঁরা যদি আপনাদেরকে আক্রমণ করতে আসেন তাহলে বটি, দা, যা হাতে পাবেন তা নিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’’ উল্লেখ্য, এভাবে প্রতিরোধ গড়ার বার্তা মাঝেমধ্যে দিতে শোনা যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুভেন্দুও কথার চাবুকে ছিন্নভিন্ন করেন তৃণমূলকে। বিজেপি জিতলে মহিলারা কী কী সুবিধা পাবেন, তারও ফিরিস্তি দেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিজেপিকে আনুন। আমরা ক্ষমতায় এলে ৩ হাজার করে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার দেব। সাড়ে ৪০০ টাকায় গ্যাস দেব। পিএম কিসানে কেন্দ্র ৬ হাজার দেয়। আমরা আরও ৬ হাজার দেব। লোকশিল্পী ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, দিব্যঙ্গ ভাতা, তফসিলি ভাতা এক হাজারের বদলে ৩ হাজার হবে। আইসিডিএসের মা-বোনেদের বেতন ২০ হাজার করব। কথা দিচ্ছি আমি বিরোধী দলনেতা।’’

শনিবার মালদার রতুয়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন বোমা ফাটবে পিসি- ভাইপো বেসামাল হয়ে পড়বে। এদিন সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘অপেক্ষা করুন। আজ রবিবার।’’ প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রায় দান করার কথা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। তাছাড়া, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের ধৃত সুজয় ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু' র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তারা সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে হাই কোর্টে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহে কোনও পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে পারে হাই কোর্ট। এই দুই মামলাতে আরও বেশ কয়েকজন শাসকদলের শীর্ষ নেতা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে জড়াতে চলেছেন বলে ইঙ্গিত বোঝাতে শুভেন্দু এমন মন্তব্য করেছেন বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। সপ্তাহখানেক আগে হলদিয়াতে এসেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই প্রসঙ্গ খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘কে এক হরিদাস পাল এখানে এসেছিলেন। সে জন্য ২৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।’’ এ দিন বিকালে সুতাহাটার হোড়খালিতেও জনসভা করেন শুভেন্দু।

তবে তাঁর মন্তব্য প্রসঙ্গে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু হতাশা থেকে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন । ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE