Advertisement
E-Paper

প্রথম দফার ভোট বাড়ল সাড়ে তিন শতাংশ, ভূতের উপদ্রব?

প্রথম দফা ভোট শেষ হওয়ার পর বিরোধী-সহ সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন, রাজ্যে ‘ভূত’-এর উপদ্রব বোধহয় কিছুটা কমল। কমিশনার-সহ নির্বাচন কমিশনের সমগ্র বেঞ্চের ভোটের আগে বার বার রাজ্যে আসা, ভোটারদের নিশ্চিন্তে ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান— এ সব কিছুর মধ্যেই কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল রাজ্যের মানুষ। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই স্বস্তির ভাব রাতারাতি উধাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ১১:০২

প্রথম দফা ভোট শেষ হওয়ার পর বিরোধী-সহ সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন, রাজ্যে ‘ভূত’-এর উপদ্রব বোধহয় কিছুটা কমল। কমিশনার-সহ নির্বাচন কমিশনের সমগ্র বেঞ্চের ভোটের আগে বার বার রাজ্যে আসা, ভোটারদের নিশ্চিন্তে ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান— এ সব কিছুর মধ্যেই কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল রাজ্যের মানুষ। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই স্বস্তির ভাব রাতারাতি উধাও।
গত সোমবার ভোট শেষ হওয়ার পর সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ কমিশনের তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়, তাতে দেখা গিয়েছিল প্রথম দফায় রাজ্যে ভোট পড়েছে ৮০.৯২ শতাংশ। যা গত লোকসভা ভোটের থেকে বেশ কিছুটা কম। কিন্তু বুধবার রাতে নির্বাচন কমিশন যে সর্বশেষ পরিসংখ্যান পেশ করেছে, তাতেই চোখ কপালে উঠেছে বিরোধীদের। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে ৮০.৯২ নয়, সে দিন ভোট পড়েছে ৮৪.২২ শতাংশ। অর্থাত্ ভোট পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ বাড়ল ভোটের হার। এই পরিমাণ ভোটের হার বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক ভাবেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। গণনার ভুলে কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানে ১ শতাংশ পর্যন্ত তারতম্য স্বাভাবিক ঘটনা বলে জানিয়েছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেই সংখ্যাটাই তিন শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়াটাকে একেবারেই ভাল ভাবে দেখছেন না তাঁরা। আর এখানেই ফের উঠে এসেছে ভূতুড়ে ভোটারের তত্ত্ব।

বিধানসভাকেন্দ্র

৪ এপ্রিল (সন্ধ্যা ৬:৩০)

৬ এপ্রিল (চূড়ান্ত হিসেব)

নয়াগ্রাম

৮০.৭২

৮৪.৭৮

শালবনি

৮৬.৬১

৯০.১৮

মেদিনীপুর

৭৮.৭৭

৮৪.৪২

বিনপুর

৮১.২৫

৮৪.৩৪

রাইপুর

৮২.২৭

৮৬.৭৪

তালড্যাংরা

৮০.৭২

৮৬.৭৭

জয়পুর

৭৮.৩৩

৮১.৮৭

মোট ভোট (শতাংশে %)

৮০.৯২

৮৪.২২

আরও পড়ুন...
ভোট বৃদ্ধির ঘোষণায় পুরভোটের অভিজ্ঞতার ছোঁয়া নেই তো?

নির্বাচন কমিশনের পেশ করা হিসাবে দেখা যাচ্ছে নয়াগ্রাম থেকে শালবনি, তালড্যাংরা থেকে জয়পুর ভোট বেড়েছে প্রায় সর্বত্রই। নয়াগ্রামে যেখানে ভোট বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ, সেখানে তালড্যংরায় বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। এই পরিমাণে ভোট বাড়ায় শাসক দল-সহ প্রশাসনকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের দাবি, “ছলে বলে কৌশলে ভোট জিততে চাইছে তৃণমূল। আর এ বিষয়ে তাদের সাহায্য করছে পুলিশ এবং প্রশাসনের একাংশ। ভোট শতাংশে এত তারতম্য কী করে হল সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” প্রায় একই কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর দবি, “এই পরিমাণে ভোট বেড়ে যাওয়ার ঘটনা আগে শুনিনি। এতে জল ঢালা হল কি না সন্দেহ হচ্ছে। গতকাল রাতেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনে মেল করেছি।” এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের এক প্রতিনিধি দল দেখা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে কি না, সেটা কমিশনার স্থির করবে। কিন্তু তার আগে রাজ্যে ফের ভুতুড়ে ভোটারের উপস্থিতি কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিরোধীদের।

assembly election 2016 election commission ghost voter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy