বৃহস্পতিবার দুপুরে ডোমকলের প্রান্তর থেকে ভেসে আসা এক কিশোরীর আর্তনাদ ছড়িয়ে গেল চরাচর জুড়ে। সে তার বাবার সঙ্গে একত্রে ঘুমোত। এখন থেকে সেটার কী হবে? তীব্র এবং তীক্ষ্ণ এক প্রশ্ন কান্নার মূর্চ্ছনায় ছড়িয়ে গেল বিশ্বময়। কত রক্ত ঝরল, কত বোমা-গুলি চলল, এই সব হিসাবকে বহু পিছনে ফেলে নিহত এক সিপিএম কর্মীর কন্যার হাহাকার এক অদ্ভুত শূন্যতার মুখোমুখি দাঁড় করাল আমাদের।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিস্পর্ধার কারণে একজনকে নৃশংস ভাবে খুন করে দেওয়া সম্ভব হয়, এই সত্যের সঙ্গে আমাদের পরিচয় আজই প্রথম হল এমন নয়। অনেক বছর ধরেই আমরা সাক্ষী থেকেছি এই ভয়াবহতার। তবু এই কান্না নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে আমাদের, অন্তত করা উচিত! আর কত দিন আমরা সহ্য করব এই অন্যায়?
এ বারের নির্বাচনে প্রথম মৃত্যু ঘটল বৃহস্পতিবার। রক্ত ঝরার ইঙ্গিত মিলছিলই। ভোট যত এগোচ্ছে, বিরোধী জোট যত আত্মবিশ্বাস দেখাতে শুরু করছে, ততই মরিয়া হচ্ছে শাসক। প্রতিরোধ বাড়ছে বিরোধীদের। প্রত্যাবর্তন না পরিবর্তন, এই স্লোগানটাই উঠতে শুরু করছে আবার, এই অবস্থায় মরণ কামড় থাকবেই। রক্ত ঝরছে তাই।
কিন্তু, মুশকিলটা হল ডোমকলের ওই কিশোরী মেয়েকে কে বোঝাবে এই সব গূঢ় কথা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy