• দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরছেন মোহনদাস কর্মচন্দ্র গাঁধী। তাঁকে বিদায় জানাচ্ছেন এক দল জুলু ডান্সার।
• ডান্ডি অভিযান সেরে ফিরছেন মহাত্মা, সঙ্গে সহযোদ্ধারা। হঠাৎ পাশ থেকে ভেসে এল উল্লাসের সুর, আর জ্যাজ-এর ঝলক।
ঠিকই পড়েছেন। সত্তরতম স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহে জাতির জনক এ বার মিউজিকাল ব্রডওয়ের মঞ্চে। দেশে প্রথমবার!
চিরাচরিত ধারা ভেঙে, অন্য ভাবে গাঁধীকে মঞ্চে এনেছে মু্ম্বইয়ের ন্যাশনাল সেন্টার ফর পারফরমিং আর্টস (এনসিপিএ) এবং সিলিপয়েন্ট নাট্য সংস্থা। শুধু শুষ্কং কাষ্ঠং ইতিহাস নয়, আবার উগ্র দেশপ্রেমও নয়। ‘গাঁধী দ্য মিউজিকাল’-এ নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে গাঁধীজির জীবন। মঞ্চ জুড়ে বিভিন্ন রকমের নাচ, গান আর আলোর খেলা। গাঁধীর জীবনের বিভিন্ন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কখনও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে জ্যাজ, ডাবস্টেপ, জুলু, আবার কখনও বা গুজরাটি গান ও ভজন।
গাঁধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় কমেডিয়ান চিরাগ ভোরা। নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে, অভিনয় করেছেন আমির খান, শাহরুখ খান, অক্ষয়কুমারদের সঙ্গে, তবুও এটা তার কাছে নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। “গাঁধীজিকে নিয়ে নাটকে দোষ-ত্রুটির জায়গা নেই। আমরা একটু অন্য ভাবে ওঁর জীবন দর্শনটা দেখানোর চেষ্টা করেছি,” মুম্বই থেকে আনন্দplus-কে বলছিলেন চিরাগ।
প্রায় কুড়ি বছর ধরে মঞ্চে অভিনয় করলেও, এটাই চিরাগ-এর প্রথম ইংরেজি নাটক।
নাটকের বিষয় যেহেতু গাঁধী, গত দু’মাস ধরে প্রায় দেড়শো জন নাট্যকর্মী ও নৃত্যশিল্পী কাটিয়েছেন বিনিদ্র রজনী। “আমরা উনিশটা গান বানিয়েছি, সেগুলো কোরিয়োগ্রাফ করানো হয়েছে এবং ব্যবহার করা হয়েছে থ্রি ডি ভিডিয়ো ম্যাপিংও, যার ফলে মঞ্চ জুড়ে অনেকটা সিনেম্যাটিক ফিল পাওয়া যাচ্ছে,” বলছিলেন প্রযোজক দানেশ ইরানি।
এক দিকে যখন মঞ্চে ফুটে উঠছে গাঁধীজির সংগ্রামের কাহিনি, থ্রি ডি ম্যাপিং-এর মধ্যে তখন ভয়েস ওভারে আছেন আরেক বলিউড স্টার—বোমান ইরানি। “বোমান মূলত সূত্রধর। ব্রিটিশ রাজের সময়কার অনেকটা অংশ ওর ভয়েস ওভার। দর্শকদের কাছে এটাও একটা নতুন ব্যাপার,” বলছিলেন দানেশ। এক দিকে যেমন নজর দেওয়া হয়েছে ডিটেলিং-এর ওপর, তেমন মঞ্চ জুড়ে থাকছে একটা সিনেমাটিক আবহাওয়া। সেট ডিজাইন করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় ডিজাইনার ফলি উনওয়ালা। “আমাদের কাছে চরিত্রের দৃশ্যায়ন খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আসলে প্রযুক্তির যুগে, এটা আমাদের গাঁধীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য ,” বলছিলেন প্রযোজক।
মুম্বইয়ে গত শনিবার প্রথম শোয়ের সাক্ষী ছিলেন কয়েকশো মানুষ, এবং ২১ অগস্ট অবধি চলা এই প্রোডাকশনের ভাবনা অন্য রকমের। পরের স্টেশন কলকাতা। সব ঠিকঠাক চললে সেপ্টেম্বরের শেষে কলামন্দির অথবা জিডি বিড়লা সভাঘরে বৈঠকে বসতে পারেন ‘ব্রডওয়ে’ গাঁধী!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy