সেই কৃশানু দে-র নস্টালজিয়া ওয়েব সিরিজ হয়ে ফিরছে বাঙালির অন্দরমহলে। ফাইল ছবি।
এক সময় তাঁর বাঁ পায়ের ম্যাজিক ফুল ফোটাত সবুজ গালিচাতে। গ্যালারি জুড়ে ধ্বনিত হত তাঁর নাম। লাল-হলুদ অথবা সবুজ-মেরুন, দুই চির প্রতিপক্ষের ভক্তকুলের কাছেই তিনি ছিলেন বড্ড কাছের। তাঁকে বলা হত ‘ভারতের মারাদোনা’। তিনি । সেই কৃশানু দে-র নস্টালজিয়া ওয়েব সিরিজ হয়ে ফিরছে বাঙালির অন্দরমহলে। ব্যাপারটা তবে খুলেই বলা যাক। কৃশানু দে-র জীবন অবলম্বনে এই প্রথম বার নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘কৃশানু কৃশানু’। গত ২৯ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই ওয়েব সিরিজের সম্প্রচার।
মুখ্য ভূমিকায় কোনও বাঙালি অভিনেতা নন। রয়েছেন অনুরাগ উরহাম। আদপে ভোপালের বাসিন্দা অনুরাগ এর আগে কোনও দিন ফুটবল খেলেননি। শুটিং শুরু হওয়ার আগে প্রায় ছ’মাস ধরে চলছে ওই সিরিজের জন্য বিশেষ অনুশীলন। শিখতে হয়েছে বাংলাও।
জানা গেল, ইস্টবেঙ্গলের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষেই চ্যানেলের পক্ষ থেকে ওই উদ্যোগ। এই সিরিজের পরিচালক কোরক মুর্মু। ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার সৌভিক দাশগুপ্ত। প্রযোজনায় টিভিওয়ালা মিডিয়া।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি জাগিয়েও হারিয়ে গিয়েছিলেন আমির-প্রসেনজিতদের এই জনপ্রিয় নায়িকা
শুটিং শুরু হওয়ার আগে প্রায় ছ’মাস ধরে চলছে ওই সিরিজের জন্য বিশেষ অনুশীলন। ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: ‘মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির আয়ু ফুরিয়েছে’
কিন্তু ইয়ং জেনারেশনের কাছে এখনও কৃশানুর গ্রহণযোগ্যতা কতটা? টিম কৃশানু বলছে, ‘ওঁর ব্যাপ্তি অনেকটা বড়। একটা বাঙালবাড়ির ছেলে। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবেই খেলেছে। এই বায়োপিক কিন্তু শুধু খেলোয়াড় কৃশানুর কথা বলে না। এই ওয়েব সিরিজের মূলত তিনটি চরিত্র। কৃশানু দে, মন্টু নামের এক খেপ খেলা খেলোয়াড় এবং এক জার্মান মহিলা যে কৃশানু দে-কে নিয়ে তথ্যচিত্র বানাতে এসেছেন।’
কৃশানু দে-র জীবন অবলম্বনে এই প্রথম বার নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘কৃশানু কৃশানু’
জানা গেল, প্রথম সিরিজে রয়েছে ১১টি এপিসোড। যার মধ্যে পাঁচটি ২৯ অগস্ট আপলোড করা হয়ে গিয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর আপলোড হয়েছে আরও দু’টি এপিসোড এবং বাকি এপিসোডগুলি আপলোড করা হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যেই ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলায় এই প্রথম কোনও ফুটবলারকে নিয়ে বানানো ওয়েব সিরিজ। বাকি সিরিজের অপেক্ষায় কৃশানু ভক্তরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy