‘প্রিটি ওম্যান’ ছবিতে জুলিয়া রবার্টসকে মনে পড়ে? রিচার্ড গেয়ার যখন তাঁর রূপ পাল্টে দিলেন সেই সময় জুলিয়া পরেছিলেন লাল রঙের শর্ট স্যুট।
রম্পার আর প্লে স্যুট হল জাম্প স্যুটের ছোট সংস্করণ। কমবয়সি মেয়েরা হামেশাই এ সব পোশাক পরে থাকে। কিন্তু শর্ট স্যুট বলেও এক ধরনের পোশাক হয়, যেটা এখন সেলিব্রিটিরা খুব পরছেন।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া থেকে অনুষ্কা শর্মা থেকে রণবীর সিংহ সকলেই এখন পরছেন শর্ট স্যুট। থ্রি পিস স্যুট টাই ছাড়া যেমন পরার চল হয়েছে তেমনি শর্ট স্যুটও ফর্ম্যাল আর ক্যাজুয়াল লুকের একটা মিশেল।
এই পোশাক সহজে পরা যায়, দেখতে চনমনে। ঠিকঠাক স্টাইলিং করলে পার্টিতেও পরা যায়।
শর্ট স্যুট পরার জন্য দরকার অ্যাটিটিউড। আজকের মেয়েদের সঙ্গে ভালই মানায় শর্ট স্যুট। অল্পবয়সি মেয়েরা তো বটেই মহিলারাও শর্ট স্যুট পরতে পারেন। তবে এর জন্য ওয়েল টোনড শরীর খুবই দরকারি। শর্ট স্যুট বছরের যে কোনও সময় পরা যেতে পারে। ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ‘কুল’ আর আরামদায়ক পোশাক হিসেবে দিব্যি মানিয়ে যায় শর্ট স্যুট। সমুদ্র সৈকতে যেতে হলে এই ধরনের পোশাক অনেকেই সঙ্গে নেন। হাল্কা কিছু অ্যাকসেসরি আর পায়ে গ্ল্যাডিয়েটর জুতোর সঙ্গে ভাল যায়। রাত্রিবেলা জুতোর স্টাইল পাল্টে দিলে পার্টিতেও পরে যাওয়া যায় এই পোশাক। দর্জি বা ডিজাইনারের সাহায্য ছাড়াও নিজের রুচিমাফিক শর্ট স্যুট বানানো যায়। শর্টসের সঙ্গে ম্যাচিং ব্লেজার পরলেই শর্ট স্যুট তৈরি। কিন্তু রং আর কাপড়ের বুনোট যেন ম্যাচ করে।
আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের র্যাম্পেও ভাল চলছে শর্ট স্যুট। ঢিলেঢালা স্টাইলের এই পোশাক এখন সুপারহিট। ডেনিম থেকে ফুলেল ছাপওয়ালা কাপড় সবেতেই চলতে পরে এই পোশাক। বিকেলে পার্টির লুক দিতে হলে চাই পায়ে হিল-জুতো আর হাতে একটা ক্লাচ-ব্যাগ। দিনের বেলা স্নিকার্সের সঙ্গে পিঠে নিতে পারেন ছোট্ট সুন্দর বাকেট-ব্যাগ। ‘‘শর্ট স্যুট আসলে আমেরিকান স্টাইল। এই বছর পুজোয় আমার মনে হয় এই পোশাক অনেকেই পরবে,’’ বলছেন ডিজাইনার অর্ণব সেনগুপ্ত। অন্য দিকে ডিজাইনার যতীন কোচর বলছেন, ‘‘ঠিক মতো ক্যারি করতে পারলে পঞ্চাশ বছরের মহিলাও এই পোশাক পরতে পারেন।’’
শর্টসের দৈর্ঘ্য কেমন হবে তা নির্ভর করছে যিনি ফ্যাশন করছেন তাঁর বয়সের ওপর। কুড়ি বছরের মেয়েরা খাটো শর্টস পরতেই পারেন। একটু বেশি বয়সের মহিলারা পরতে পারেন দৈের্ঘ্য একটু বড় শর্টস। শর্টস পরার ক্ষেত্রে চওড়া কোমর একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোমর ছাপিয়ে নামা ব্লেজার পরতে পারেন। হালকা ফিনফিনে পাতলা শার্ট বা ব্লাউজের সঙ্গে শর্ট স্যুট ভাল মানায়। কোমরে পাতলা বেল্ট পরলে ফরমাল লুক চলে আসে। এই ধরনের সাজের সঙ্গে লুক হবে মিনিমালিস্টিক। অর্থাৎ মেক আপ কম, গয়নাগাটিও কম। ক্রিস্টালের লকেট, নয়তো কানে লম্বা একটা জোড়া দুল, নয়তো ছোট্ট হিরের টপ পরতে পারেন শর্ট স্যুটের সঙ্গে। মুক্তোর এক ছড়া হার বা মোটা চেনও পরা যায় শর্ট স্যুটের সঙ্গে।
ভারতীয় আবহাওয়ায় সুতি আর লিনেনের তৈরি স্যুট সবচেয়ে ভাল। শীতকালে শর্টসের নীচে একটা লেগিংস পরলেই যথেষ্ট। সঙ্গে পরুন বুটস। ‘‘পোশাকে ভারতীয় লুক যদি আনতে চান, ব্লেজারের বদলে পরুন অনোখি জ্যাকেট বা এথনিক ওয়েস্ট কোট,’’ বলছেন অর্ণব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy