Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

কলকাতায় ফ্যামিলি অ্যালবাম

সোনি রাজদানের ছবির স্ক্রিনিং উপলক্ষে শহরে মহেশ ও আলিয়া ভট্ট। তাঁদের তিন জনকে ফ্রেমবন্দি করল আনন্দ প্লাস‘ইয়োর্স ট্রুলি’তে সোনি রাজদানের চরিত্রের সঙ্গী একাকিত্ব। বাস্তব জীবনেও সোনি খানিকটা ওই রকমই।

সোনি-আলিয়া। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

সোনি-আলিয়া। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০১
Share: Save:

তাঁর প্রথম ছবি কলকাতাতেই শুট হয়েছিল। ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’। এমনিতেও মাঝে মধ্যেই শহরে এসে থাকেন সোনি রাজদান। এ বারে এসেছিলেন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবি ‘ইয়োর্স ট্রুলি’র স্ক্রিনিংয়ের জন্য।

‘‘এখানে এসে সকলেই হয়তো বলেন কলকাতা পছন্দের শহর। আমার ব্যাখ্যাটা বলি, তা হলে বুঝতে পারবেন। কলকাতার মানুষ নিজের সংস্কৃতিকে ভালবেসে হেরিটেজকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কোনও কিছুর দুমদাম নাম বদলে দিচ্ছে না মুম্বইয়ের মতো।’’ তাঁর পরিচিত কলকাতা যে ঠিক আগের মতো নেই জানানোয় বেশ দুঃখ পেলেন সোনি, ‘‘এটা হলে খারাপ। ঐতিহ্য নষ্ট করা মানে নিজেদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা।’’

সঞ্জয় নাগের ‘ইয়োর্স ট্রুলি’তে অনেক দিন পরে মলাট চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। মজা করে বলছিলেন, ‘‘আমার বয়সে কেন্দ্রীয় চরিত্র পাওয়াটাই দুর্লভ। তাই খারাপ চরিত্রের প্রস্তাব দিলেও হয়তো রাজি হয়ে যেতাম। আর সঞ্জয় তো খুব ভাল একটা চরিত্র দিল আমাকে।’’ সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘বধাই হো’র প্রসঙ্গ আসতেই সোনি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘‘বলিউড হয়তো বদলাচ্ছে। কিছু দিন আগেও লোকে এটা ভাবেনি।’’

সোনি-মহেশ।

‘ইয়োর্স ট্রুলি’তে তাঁর চরিত্রের সঙ্গী একাকিত্ব। বাস্তব জীবনেও সোনি খানিকটা ওই রকমই। ‘‘ভাল লাগে একা থাকতে। বাড়ি ভর্তি লোক থাকলেও তার মাঝেই আমি নিজের মতো করে একা হয়ে যেতে পারি। অনেক সময়ে কোনও বন্ধু ফোন করে হয়তো বেরোনোর জন্য বলছে। আমি ‘না’ করে দিলাম। বন্ধুদের সঙ্গেও বেরোই। আবার নিজের মতো একা হাঁটতেও ভাল লাগে। নিজেকে নিজের বন্ধু বানানোর মতো ভাল কিছু নেই।’’

আলিয়া কি তাঁর মতোই? না কি মহেশের মতো? একবাক্যে বললেন, ‘‘আমার মতোই। ও একা থাকতে ভালবাসে। বন্ধুদের সঙ্গে হইহই করছে ঠিকই, তার মধ্যেই নিজের জন্য সময় বার করে একা একা বেড়িয়েও আসে।’’

আলিয়াকে মহেশ ‘স্টার’ বলে সম্বোধন করে থাকেন। সোনির ছবির জন্য শহরে এসেছেন মহেশ ভট্টও। হোটেলের লবিতে দাম্পত্য আলাপের মাঝে মহেশ খোঁজ করছিলেন, ‘স্টার কখন আসবে?’ মায়ের ছবির স্ক্রিনিংয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য কলকাতা ঘুরে গেলেন মহেশের ‘স্টার’। কালো ট্র্যাকপ্যান্টস, ডেনিমের জ্যাকেট আর শেডস পরে আলিয়া আসতেই ফ্যামিলি অ্যালবাম সম্পূর্ণ হল।

মহেশ কি আলিয়াকে স্টার বলে ডাকেন? ‘‘না, ওই মজা করে,’’ হেসে জবাব দিলেন সোনি। বাড়িতে থাকলে আলিয়া মায়ের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। ‘‘আগে তো ওর সব কথা আমার সঙ্গেই ছিল। এখন বাবার সঙ্গেও অনেক গল্প করে।’’ বলিউডে আলিয়া এখন একটা নাম। মেয়ের কেরিয়ারের শুরুর দিকে সব কিছুর সঙ্গে সোনি খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে ছিলেন। ‘‘প্রথম দিকে তো সব কিছু আমি দেখতাম। এখন নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে,’’ বলছিলেন সোনি। মেয়ে তা হলে পরিণত হয়ে গিয়েছে বলছেন? হেসে বললেন, ‘‘সব ব্যাপারে হয়তো নয়। তবে কেরিয়ারের সিদ্ধান্তগুলো নিজেই নিতে পারে।’’

আলিয়া আর রণবীর কপূরের সম্পর্ক নিয়ে গোটা দেশে আলোচনা চলছে। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে কী বলছেন সোনি? যতটা মন খুলে কথা বলছিলেন, আলিয়া আর রণবীরের প্রসঙ্গ আসতেই গুটিয়ে গেলেন। বললেন, ‘‘আলিয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি কিছু বলব না। (একটু থেমে) আলিয়া যাতে খুশি থাকে, মা হিসেবে আমিও সেটাতেই খুশি।’’

মহেশ ভট্ট অনেক দিন পরে ‘সড়ক টু’ দিয়ে পরিচালনায় ফিরছেন। যেখানে আলিয়া এবং পূজা দুই মেয়েই রয়েছেন। এই ছবি নিয়ে সোনি বেশ উত্তেজিত। জানালেন, শুটিংয়ের সময়ে সেটে গিয়ে বসে থাকবেন, এটা দেখার জন্য যে , কেমন করে মহেশ তাঁর ‘স্টার’কে সামলান!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE