বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়।
কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিক দিয়ে। তার পর ‘বয়েই গেল’, ‘মন নিয়ে কাছাকাছি’র মতো সিরিয়ালের সুবাদে ছোট পরদায় ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। এর পর সুযোগ পান আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ ছবিতে। প্রথম ছবিতেই বাসবদত্তার অভিনয় নজর কেড়েছিল সকলের। তবে এর পর আর সে ভাবে দেখা যায়নি বাসবদত্তাকে। কারণ জিজ্ঞেস করতেই অভিনেত্রী জানালেন, ‘‘আপাতত চারটে ছবিতে (‘তখন কুয়াশা ছিল’, ‘আদর’, ‘মিছিল’, ‘শ্রাবণের ধারা’) কাজ করছি। পাশাপাশি দুটো শর্ট ফিল্মের কাজও রয়েছে।’’ আর ছোট পরদায়? ‘‘আপাতত সিরিয়ালের কাজ করছি না। আসলে সিরিয়ালের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ছবির কাজ ছেড়ে দিতে হয়। এখন ছবির কাজই করতে চাই। হয়তো অনেকেই সিরিয়াল ও সিনেমা দুই-ই করছেন। কিন্তু আমি সেই ভারসাম্যটা রাখতে পারি না। তাই সচেতন ভাবেই এই বিরতি নিয়েছি।’’ তবে মেনে নিলেন পুরোপুরি বাণিজ্যিক ছবিতে মানাবে না তাঁকে। ‘‘আসলে সমস্ত ধরনের পোশাকে আমি স্বচ্ছন্দ নই। আমি এ ধরনের ছবিতে বেমানান।’’
বাসবদত্তার অভিনয়ে আসাও এক অদ্ভুত ঘটনা। বাবা ফিল্ম সমালোচক ছিলেন। বাবার পথেই হাঁটতে চেয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার সূত্রেই ক্রমশ সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে সংযোগও গড়ে উঠছিল। তখনই এক পরিচিতের পরামর্শে ‘গানের ওপারে’র অডিশন দিয়েছিলেন তিনি। আপনার পরিবার অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য আপত্তি করেনি? ‘‘একেবারেই না। প্রথম থেকেই পরিবারের সমর্থন পেয়েছি। আসলে পরিবারের সকলেই আমার চিন্তাভাবনা, রুচি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই সকলেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।’’
ছোটবেলার মতো এখনও অবসর সময়ের সঙ্গী বই। সমসাময়িক গান নয়, পুরনো দিনের ক্ল্যাসিক গানই শুনতে ভালবাসেন তিনি। সুযোগ পেলেই বসে পড়েন ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। আর ‘বিশেষ’ বন্ধু? বিষয়টা এড়িয়ে গেলেও জানালেন, স্কুল ও কলেজ স্তরে একাধিক প্রোপোজাল পেলেও ইন্ডাস্ট্রিতে সেই অভিজ্ঞতা হয়নি। ‘‘এগুলো একেবারেই প্রশ্রয় দিই না। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ইমেজটাও এমনই যে, কেউ সাহসও দেখায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy