ফাইল চিত্র।
বয়স মাত্র ২৯। আর এর মধ্যেই বলিউডে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। অনেকের মতেই, ফিল্মি গানায় এ মুহূর্তে তাঁর মতো জনপ্রিয় গায়ক বলিউডে আর কেউ নেই। কিন্তু, এ সব ছেড়েছুড়ে চলে যেতে চাইছেন তিনি। আগামী বছরেই অবসর নিতে চাইছেন অরিজিৎ।
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের পঞ্জাবি পরিবারের ছেলে অরিজিতের মা বাঙালি। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে গানের পরিবেশে বেড়ে ওঠা। বাড়িতেই সুর-তালের প্রাথমিক তালিম। পড়াশোনায় মন্দ ছিলেন না। তবে শুরু থেকেই সঙ্গীতের দিকে তাঁর ঝোঁক দেখে ছেলেকে পেশাদার করানোর চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন অরিজিতের মা-বাবা। ২০০৫-এ টেলিভিশনের এক মিউজিক রিয়েলিটি শো’তে প্রথম আত্মপ্রকাশ। এর পর একের পর এক রিয়েলিটি শো’য়ে গেয়েছেন অরিজিৎ। নজর কাড়তেও বেশি সময় নেননি। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বলিউডে অরিজিতের এন্ট্রি কেকওয়াক ছিল না। বরং প্রথম দিকে বেশ স্ট্রাগল করে নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়েছে।
শুরুর দিনগুলিতে একটি মিউজিক রিয়েলিটি শো’য়ে অরিজিৎ সিংহ।
গায়ক হিসেবে পরিচিত হওয়ার আগে বলিউড সুরকার প্রীতমের সঙ্গে মিউজিক অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ শুরু করেন অরিজিৎ। ২০১১-তে মোহিত সুরির ফিল্ম ‘মার্ডার-২’-তে গানের সুযোগ। এর পর একের পর এক ফিল্মে অরিজিতের স্বকীয়তার পরিচয় মিলেছে। প্রথম সারিতে পৌঁছতেও তাই বেশি দেরি হয়নি। কিন্তু, খ্যাতির শীর্ষে থাকাকালীন এ ভাবে অবসরের উদাহরণ বলিউডে খুব একটা মেলেনি। তা হঠাৎ অবসরের কথা ভাবনা-চিন্তা করছেন কেন অরিজিৎ? তর্কযোগ্য ভাবে বলিউডেই এক নম্বর গায়ক বলেন, “আমার মনে হয় না, আমি এখানে থেকে বেশি দূর এগোতে পারব! এ বছরটাই হয়তো আমার শেষ বছর।” তবে গায়ক হিসেবে বলিউড থেকে সরে দাঁড়ালেও সঙ্গীতের জগতেই থাকতে চান তিনি। কিন্তু, হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্তই বা কেন? অরিজিতের কথায়: “বলিউডে পাঁচ-সাত বছর অন্তর পুরনো গায়কদের সরিয়ে উঠে আসে একঝাঁক নতুন মুখ। আমি হয়তো সেটা বদলাতে পারব। তবে শুধুমাত্র গান গাওয়া নয়, সঙ্গীতের অন্য দিকগুলোতে এগোলে আমি হয়তো বলিউডে আরও অনেক দিন টিকে থাকতে পারব। হয়তো এ ভাবেই বেঁচে থাকব আমি।” ভবিষ্যতে কী করতে চান তিনি? অরিজিৎ বলেন, “সামনের বছরগুলোতে মিউজিক টেকনোলজি নিয়ে আরও ওয়াকিবহাল হতে চাই।”
আরও খবর...
ভালবাসার জন্য নাকি প্রায় ‘পাগল’ হয়ে গিয়েছিলেন এই বলি সেলেবরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy