‘শূন্যতা’র একটি দৃশ্যে। ছবি: সংগৃহীত।
৩১ মার্চ মুক্তির অপেক্ষায় ছিল বাংলা ছবি ‘শূন্যতা’। তারই কয়েক প্রহর আগে আঞ্চলিক সেন্সর বোর্ডের কর্তারা ছবিটিকে সার্টিফাই করতে নারাজ। বিমুদ্রাকরণ নিয়ে দেশের প্রথম ছবি ‘শূন্যতা’। তিন ভাগে শুটিং করা হয়েছে শুভেন্দু ঘোষের এই ছবির। লেখক অনির্বান চোধুরীর তিনটি ছোট গল্পের ভিত্তিতে তৈরি ‘শূন্যতা’র চিত্রনাট্য। প্রথমে পরিকল্পনা ছিল এই তিনটি ভাগ হবে এক একটা আলাদা শর্ট ফিল্ম। দুটো ভাগের শুটিং প্রথমেই হয়ে যায়। সেন্সর বোর্ড সবুজ সঙ্কেতও দিয়ে দেয় এই দুটো ভাগকে। কিন্তু পরে এর তিনটি ভাগ একত্রিত করে ছবির ডিউরেশন একটা ফিচার ফিল্মেরই আকার ধারণ করেছিল। তাই পরিচালক ও প্রযোজক ঠিক করেন যে ‘শূন্যতা’ একটা পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফিচার ফিল্মই হোক। তিনটে ভাগকে একসঙ্গে করে সেন্সরের কাছে গেলে ঘোরতর আপত্তি জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন, নোট বাতিল নিয়ে প্রথম ছবি বাংলাতেই তৈরি হল, নাম ‘শূন্যতা’
২৭ মার্চ সেন্সর বোর্ডের দফতরে যায় টিম ‘শূন্যতা’। এ দিকে ছবি মুক্তি পাবে ঠিক তার চার দিন পরে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে পরিচালক শুভেন্দু ঘোষ বলেছেন, ‘সেন্সর বোর্ডের কর্তারাই এক মত হতে পারছেন না যে ছবিটিকে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়। অর্থাৎ ‘ইউ/এ’ নাকি ‘এ’। আমি অবাক হচ্ছি তথ্যচিত্র এবং শর্টফিল্ম বিভাগে প্রথম দুটির জন্য কোনও অসুবিধা হল না। তৃতীয় ভাগটা জুড়ে ফিচার ফিল্ম করাতেই যতো আপত্তি।’ কলকাতার সেন্সর বোর্ডের কর্তারা ঠিক করেছেন যে ছবিটিকে বর্তমানে মুম্বইতে পাঠানো হবে। সেখানে এই ছবিকে সম্মতি দিলে তবেই মুক্তি পাবে ‘শূন্যতা’।
আরও পড়ুন, এঁরা এই সব সেলেবের ভাই-বোন, জানতেন?
বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ডাক পেয়েছে ‘শূন্যতা’। তবে সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে ছাড় না দিলে ইউটিউবে ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই পরিচালকের। তিনি সিনেমা হলেই সাধারণ মানুষকে নোটবন্দি নিয়ে এই ছবি দেখাতে চান। আর সেই উদ্দ্যেশ্যেই বেছে নিয়েছেন এ রকম বাস্তবধর্মী থিম।
‘শূন্যতা’য় লক্ষ্মী ও বাসি।ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি প্রতিম ডি গুপ্তার ‘সাহেব বিবি গোলাম’-এও আপত্তি জানিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। ট্রাইবুউনালে জেতার পর মুক্তি পেয়েছিল ‘সাহেব বিবি গোলাম’। এমনকী এই দিন কয়েক আগে ‘কল্কিমন্থনকথা’র প্রাইভেট স্ক্রিনিংও বন্ধ করে দেয় সেন্সর বোর্ড। ‘শূন্যতা’র প্রযোজক উদয় সিংহ বলছেন ‘আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সে দিন সেন্সর বোর্ডের অফিসে যে ঝামেলাটা হলো তার পর আমার এখন ভয় হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেক টাকা এই ছবির পিছনে ঢেলে ফেলেছি। এ রকম দিনের পর দিন চলতে থাকলে নতুনরা ছবি প্রযোজনার কাজে হাত দেবেন তো?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy