তেলুগু সুপারস্টার চিরঞ্জীবী। ফাইল চিত্র।
ভারতীয় চলচ্চিত্র মানে কেবলই কি হিন্দি ছবি? এত বড় দেশ, এত ভাষাভাষীর সমন্বয় কি এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দেওয়া যায়? সম্প্রতি একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এক পুরনো স্মৃতি মনে করে ভেঙে পড়লেন তেলুগু সুপারস্টার তথা প্রাক্তন রাজনীতিবিদ চিরঞ্জীবী।
নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো, যেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভাষার মর্যাদার প্রসঙ্গ তুলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা। তেলুগু ভাষায় কাজ করে স্বীকৃতি পাওয়ার বদলে যেন লাঞ্ছনার ভার নিয়ে ফিরেছিলেন সে বার।
১৯৮৮ সাল। 'রুদ্রবীণা' ছবিতে অভিনয়ের কৃতিত্বে জাতীয় পুরস্কার নিতে দিল্লি চলেছেন দক্ষিণী অভিনেতা চিরঞ্জীবী। বিশাল বড় উদ্যোগ, সাজানো গোছানো চারপাশ। অনুষ্ঠানের কক্ষে প্রবেশ করে দেখলেন, দেওয়াল জুড়ে কেবল বলিউডের পোস্টারে ছয়লাপ। পৃথ্বীরাজ কপূর, রাজ কপূর থেকে শুরু করে দেবানন্দ, অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খন্না, ধর্মেন্দ্র প্রমুখ সবার ছবি ঝলমল করছে। পরিচালক, নায়িকা বা আরও যাঁদের ছবি ছিল, সবাই হিন্দি ছবিরই কুশীলব।
এর পরও চিরঞ্জীবী অপেক্ষা করছিলেন। মঞ্চে যখন চলচ্চিত্র নিয়ে কথা হবে, তখন অন্তত দক্ষিণী ছবির সঙ্গে পরিচয় করানো হবে সকলের। কিন্তু কই? উদ্যোক্তারা কেবল এম জি রামচন্দ্রনের একটি ছবি দেখিয়ে এক লাইন বললেন। আর দেখালেন জয়ললিতার একটি নাচের ছবি। এটুকুই নাকি দক্ষিণী ছবির সম্পর্কে তাঁদের বলার ছিল।
বলতে বলতে কান্নায় গলা বুজে আসে সুপারস্টারের। এর পরই তিনি মনে করিয়ে দেন, ভাষার বাধা ভেঙে দক্ষিণী ছবিই এখন স্বমহিমায় বিরাজ করছে। দেশের মানুষের মন কাড়ছে অনায়াসে। এতে তিনি গর্বিত বোধ করছেন বলে জানান। 'বাহুবলী', 'বাহুবলী ২' এবং 'আরআরআর'-এর মতো চলচ্চিত্রের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানান। খুব শীঘ্রই চিরঞ্জীবীকে মেহের রমেশের 'ভোলা শঙ্কর' ছবিতে দেখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy