পশ্চিমবঙ্গে সিনেমাহলের সংখ্যা প্রায় সাতশো হল থেকে কমতে কমতে এখন এসে দাঁড়িয়েছে দুশোয়। এই নিয়ে হলমালিক থেকে প্রযোজনা সংস্থা— শঙ্কায় সকলেই। হিন্দি ছবির সঙ্গে বাংলা ছবির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কিংবা উৎসবের দিনে একসঙ্গে বেশ কয়েকটা বড় বাজেটের ছবির মুক্তি নিয়েও তরজা চলে অনেক।
এ সবের মাঝেই হাজির নতুন মাল্টিপ্লেক্স চেন এসভিএফ সিনেমাজ। আপাতত একটি হলই তার মধ্যে কার্যকরী। সেটি নরেন্দ্রপুরে। তবে এসভিএফ-এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলার যে সব এলাকায় ভাল মাল্টিপ্লেক্স বা একক সিনেমা হল নেই— সে সব জায়গায় এই মাল্টিপ্লেক্স চেনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এখন প্রশ্ন, এই নতুন মাল্টিপ্লেক্স বাংলা ইন্ডাস্ট্রির হল কালেকশন কি আদৌ বাড়াবে? না কি বরাবরের প্রতিযোগীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে?
প্রযোজনা সংস্থার এসভিএফের অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু নরেন্দ্রপুর-সোনারপুর এলাকায় কোনও হল ছিল না, সেই জন্যই এটা করা হয়েছে। এর পর বারুইপুর, জলপাইগুড়ি, বসিরহাট, চুঁচুড়়া, বরানগর, সোদপুরের মতো জায়গাতেও আমরা এসভিএফ সিনেমাজ খুলছি। এখানে প্রতিযোগিতার কোনও জায়গা নেই। মুম্বইয়ে যে রকম আন্তর্জাতিক মানের মাল্টিপ্লেক্স রয়েছে, তার ধারেকাছে আমরা নেই। ফলে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়ানোটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
বড় হিন্দি ছবির স্ক্রিনিং তো হবেই এসভিএফ সিনেমাজ-এ। কিন্তু প্রশ্ন, ভেঙ্কটেশ প্রযোজিত বাংলা ছবিগুলোই কি স্ক্রিন পাবে এই মাল্টিপ্লেক্সে? নাকি তার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের ছবিও স্থান পাবে সেই মাল্টিপ্লেক্সে?
মহেন্দ্রর উত্তর, ‘‘অবশ্যই সব ধরনের ছবি স্থান পাবে। আমরা তো সুরিন্দর ফিল্মসের ‘ঘরে অ্যান্ড বাইরে’-ও দেখাচ্ছি। শুধু এসভিএফ-এর ছবি দেখাব, এ রকম ভাবনা আমাদের নেই।’’
কিন্তু অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে যে, ভেঙ্কটেশের আধিপত্যের কারণে ছোট ছবির ব্যবসা মার খায়। তারা যথেষ্ট সংখ্যক হল পায় না। এই বিষয়গুলো কি আরও জোরদার হবে না, যদি নিজস্ব মাল্টিপ্লেক্সের জোরটাও ভেঙ্কটেশের কাছে থাকে?
‘‘যে ছবি ভাল চলে, তাদের এমনিই কোনও সমস্যা হয় না বলেই তো আমার মনে হয়। আমাদের ছবি ভালই চলে, আমরা ভাল ভাল ছবি বানাইও। আবার দেখুন, ‘পোস্ত’ কিংবা ‘বেলাশেষে’রও কিন্তু কোনও সমস্যা হয়নি। ছবি ভাল হলে চিন্তার তো কোনও কারণ দেখি না,’’ সাফ জবাব মহেন্দ্রর।
যদি সত্যিই এসভিএফ সিনেমাজ-এ ছবি চালানোর ক্ষেত্রে ভাল ছবিই প্রধান বিবেচ্য হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, তা হলে অবশ্যই এই প্রয়াস হলের সমস্যা কিছুটা হলেও মেটাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy