দিলীপ কুমার এবং আশা-লতা
পেশা আলাদা, ধর্মও আলাদা। তবু তাঁদের জুড়ে দিয়েছিল রাখি বন্ধন। হ্যাঁ, দিলীপ কুমার ওরফে ইউসুফ খান লতা মঙ্গেশকরের ‘রাখি ভাই’। প্রতি বছর নিয়ম করে ‘কিন্নর কণ্ঠী’ রাখি বেঁধে দিতেন দিলীপ কুমারের হাতে। সেই ছবি বুধবার সকাল থেকে জ্বলজ্বল করছে লতাজির পাতায়। ‘রাখি ভাই’ নেই। কিন্তু তাঁর ছবি রয়ে গিয়েছে। সেই স্মৃতি আঁকড়ে শিল্পী ফিরে দেখতে চেয়েছেন ফেলে আসা দিনগুলো।
কেমন ছিল সে সব দিন? দু'টি টুইটে লতাজি জানিয়েছেন, দিলীপ সাব অভিনীত বহু ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। সেটে তাই প্রায়ই দেখা হত তাঁদের। তাঁর কাছে কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার নন, 'ইউসুফ ভাই'। নিজের বড় দাদা। শিল্পীর তাই আক্ষেপ, ‘ছোট বোনকে একা করে দিয়ে কী করে চলে যেতে পারেন দাদা!' অন্য একটি টুইটে শিল্পী সান্ত্বনা জানিয়েছেন সায়রা বানুকে।
যিনি ৫৫ বছরের দাম্পত্যে প্রাণ দিয়ে আগলেছেন তাঁর ‘দিলীপ সাব’-কে। লতাজির কথায়, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন দিলীপ কুমার। শেষ দিকে কাউকে চিনতেও পারতেন না। সেই সময় প্রবীণ অভিনেতার এক মাত্র অবলম্বন ছিলেন সায়রাজি।’ দিলীপ কুমারের জন্য অভিনেত্রীর এই আত্মত্যাগ ভোলার নয়, দাবি শিল্পীর।
ইনস্টাগ্রামে দিলীপ কুমারকে স্মরণ করেছেন বলিউডের সঙ্গীত দুনিয়ার আরেক স্তম্ভ আশা ভোঁসলেও। তিনি বড় দাদাকে হারিয়ে শোকমগ্ন। সায়রা বানুকে তিনিও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy