সিদ্ধার্থ, আদর ও তারা
তাঁরা প্রেম করছেন বলেই গুঞ্জন ছিল। কিন্তু তাঁদের আগামী ছবি ‘মরজাওয়াঁ’র প্রচারে অবশ্য দু’জনের মধ্যের দূরত্বই প্রকট হয়ে উঠল। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা এতই বাড়ছে যে, নির্মাতারা বুঝতে পারছেন না, কী ভাবে সামাল দেবেন।
কথা হচ্ছে সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও তারা সুতারিয়ার। আলিয়া ভট্ট ও বরুণ ধওয়নের সঙ্গে ডেবিউ করেছিলেন সিদ্ধার্থ। তবে কর্ণ জোহরের কৃপাদৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও কেরিয়ারে সাড়া জাগানো কিছু করতে পারেননি তিনি। অন্য দিকে টাইগার শ্রফের বিপরীতে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার টু’ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন তারা। সিদ্ধার্থ ও তারা দু’জনে একই আবাসনে থাকেন। তাঁদের মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন উস্কে দিয়েছিলেন খোদ কর্ণ। ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ তারাকে এ বিষয়ে প্রশ্নও করেছিলেন। যদিও অভিনেত্রী সেই বিষয়ে সদুত্তর দেননি। প্রেম যদি থেকেও থাকে, তবে এত তিক্ততার জন্ম কোথা থেকে?
সূত্রের খবর, তারার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার পরে সিদ্ধার্থের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন কিয়ারা আডবাণী, যাঁর সঙ্গে সম্প্রতি ছবির শুটও করছেন সিদ্ধার্থ। তারা সেই কথা জানতে পারার পর সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর তিক্ততা আরও বেড়েছে। অথচ ছবির শুটিংয়ের সময়ে তারা ও সিদ্ধার্থ নাকি একসঙ্গে বহুক্ষণ থাকতেন। একসঙ্গে বাড়িও ফিরতেন। তারার হঠাৎ হঠাৎ মুড বদলে যাওয়া নিয়েও নানা কথা শোনা যায়। একটি ছবি করেই তাঁর খামখেয়ালিপনা এত বেড়ে গিয়েছে যে, পরিচালক মিলাপ জ়াভেরি তাঁকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন। অভিনেত্রী শুটে দেরি করে আসতেন বলেও শোনা গিয়েছে। ছবির প্রচারে তারা ও সিদ্ধার্থ নাকি পরস্পরের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্যও করেছেন। এক সাংবাদিক বৈঠকে বাড়াবাড়ি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তারা সাক্ষাৎকার ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন বলেও হুমকি দেন। এই মন কষাকষিতে ভুক্তভোগী টিমের সদস্যরা।
এ দিকে সিদ্ধার্থের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার পর থেকে আদর জৈনের সঙ্গে তারার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। অমিতাভ বচ্চনের দিওয়ালি পার্টিতে আদরের হাত ধরে আসেন তারা। সেখানে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তারা বলেন, ‘‘আমরা অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটাই। রেস্তরাঁয় খেতে যাই। তাই পাপারাৎজ়ি আমাদের ছবি তুলবেই। আদর আমার স্পেশ্যাল ফ্রেন্ড (লজ্জা পেয়ে)। ওর সঙ্গে সময় কাটাতে ভাল লাগে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy