প্রতীকী ছবি।
পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে সিনেমা দেখতে গিয়ে হয়তো দেখলেন, হলটাই বন্ধ। কারণ এ মাসের শেষে সিনেমার টিকিটে সার্ভিস চার্জ বসানোর দাবিতে ধর্মঘটের পথে যাওয়ার কথা ভাবছে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইম্পা)। গত এক বছর ধরে সার্ভিস চার্জের দাবি জানিয়ে আসছে ইম্পা। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না মেলায় ধর্মঘটের কথা ভাবছে সংগঠন।
নব্বইয়ের দশক থেকে সিনেমার টিকিটে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। কিন্তু জিএসটি চালু হওয়ার পরে অন্যান্য সব ট্যাক্স তুলে নেওয়া হয়। তবে প্রেক্ষাগৃহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মহারাষ্ট্র, গোয়া, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড-সহ একাধিক রাজ্যে সার্ভিস ট্যাক্স চালু। এ রাজ্যে সরকার মৌখিক সম্মতি দিলেও, লিখিত অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে। ইম্পার ডিস্ট্রিবিউটর শাখার চেয়ারম্যান সরোজ মুখোপাধ্যায় জানালেন, বাংলা ছবির ক্ষেত্রে তাঁরা সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকেন। আর লিখিত সম্মতি না থাকলে হিন্দি-ইংরেজি ছবির ডিস্ট্রিবিউটররা সার্ভিস চার্জ দেবেন না। এই অবস্থায় সিঙ্গল স্ক্রিন মালিকদের ধর্মঘটের রাস্তায় যাওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না। ইম্পার চেয়ারম্যান পিয়া সেনগুপ্তর কথায়, ‘‘অনেক দিন আলোচনা চালিয়েছি। কিন্তু সরকার এ বার সম্মতি না জানালে আমরা চরম সিদ্ধান্ত নেব।’’
সম্প্রতি বেহালার ইলোরা এবং সোদপুরের রথীন্দ্র সিনেমা বন্ধ হয়েছে। রাজ্যে সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা ৯০০ থেকে ২০০-য় দাঁড়িয়েছে। এত দিন ব্লোয়ার-ফ্যান-এসি প্রেক্ষাগৃহের জন্য যথাক্রমে দুই, আড়াই এবং পাঁচ টাকা সার্ভিস চার্জ নেওয়া হতো। তা বাড়িয়ে পাঁচ, সাত, দশ টাকা করার দাবি জানানো হচ্ছে। ইম্পার সদস্য শান্তনু রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‘আমি বেলঘরিয়ায় রূপমন্দির হল রেনোভেট করে মিনিপ্লেক্স করেছি। পরিকাঠামোগত বদল সহজ নয়। এখনকার দিনে পাঁচ-দশ টাকায় কী হয়! আর টাকা তো দর্শককে দিতে হচ্ছে না। ওটা ডিস্ট্রিবিউটদের উপরে।’’
এর আগে যত বার ধর্মঘটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, অরূপ বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইম্পার সিদ্ধান্তের পিছনে বিজেপির প্রভাব রয়েছে কি না সে প্রশ্নও উঠছে। যদিও পিয়া সেনগুপ্ত বলছেন, তাঁদের সংগঠন কিন্তু রাজনীতির আওতার বাইরে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy