প্রেমের স্মৃতি হিসাবে এখনও নিজের শরীরে নাগার নামের ট্যাটু রেখে দিয়েছেন সামান্থা। ছবি: সংগৃহীত।
রূপকথার মতো প্রেম। নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভুর প্রেমের কথা বললে প্রথমেই অনুরাগীদের মনে পড়ে এই শব্দবন্ধই। ২০১৭ সালে একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়াও বেঁধেছিলেন সে রকম ভাবেই।নাগা চৈতন্যকে ভালবেসে নিজের শরীরে তাঁর নাম লিখেছিলেন সামান্থা। শরীরের ডান দিকে পাঁজরের কাছে ছোট্ট করে লেখা, ‘চে’। নাগাকে আদর করে ওই নামেই ডাকতেন দক্ষিণী অভিনেত্রী। রূপকথার সেই প্রেমের সম্পর্কে চিড় ধরে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই। সম্পর্ক ভাঙে ২০২১ সালের অক্টোবর মাস নাগাদ। বিচ্ছেদের পর নাগা চৈতন্যর সঙ্গে মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ সামান্থার। নাগার সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হোক, চানও না অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও এখনও প্রেমের স্মৃতি হিসাবে রেখে দিয়েছেন নাগার নামের ওই ট্যাটু। শুধু নাগার নামের ট্যাটুই নয়, সামান্থার ঘাড়ে একটি ‘ওয়াইএমসি’ লেখা ট্যাটুও আছে, যা তাঁর ও নাগা চৈতন্যর প্রথম ছবির স্মৃতি। ওই ছবির সেট থেকেই দুই তারকার মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত।
বছর দু’য়েক আগে সমাজমাধ্যমে নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানান নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। তার দিন কয়েক পরেই ছিল যুগলের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু অনুরাগীদের চমকে দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মতো মনখারাপ করা খবর প্রকাশ করেন সামান্থা ও নাগা চৈতন্য। অথচ দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পরে ২০১৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা। বিয়ের আগে ছিলেন লিভ ইন রিলেশনশিপে। সব মিলিয়ে প্রায় এক দশকের সম্পর্ক।
সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় বিয়ের মাত্র চার বছরের মাথায়। বিবাহবিচ্ছেদের পরে তাই অবসাদের অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিলেন সামান্থা। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘খুব খারাপ ভাবনাচিন্তা ভিড় করে আসত মনের মধ্যে। আমি ভাগ্যবতী যে, আমার খুব কাছের কিছু মানুষ ওই সময়ে আমার পাশে ছিলেন।’’ সামান্থার দাবি, ‘‘আমি আমার বিয়ে অটুট রাখতে ১০০ শতাংশ চেষ্টা করেছিলাম। তার পরেও আমার সম্পর্ক ভেঙে যায়।’’ তবে সামান্থা জানান, এখন সেই অন্ধকার সময় থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসেছেন তিনি। এখনও নাকি মাঝেমধ্যে খারাপ চিন্তা মাথায় ঘোরে তাঁর। তবে, আগের চেয়ে এখন অনেক ভাল আছেন তিনি, জানান পর্দার ‘শকুন্তলম’। সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও এখনও স্মৃতি রেখে দিয়েছেন সামান্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy