শ্রদ্ধা কপূর। ছবি সৌজন্য টুইটার।
প্র: ‘স্ত্রী’-এর সাফল্য কি আপনার কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিল?
উ: এ রকম একটা ছকভাঙা ছবিতে কাজ করতে পেরে ভীষণ খুশি আমি। স্ক্রিপ্টও জোরদার ছিল। দর্শকের ভালবাসা পাওয়া খুব বড় ব্যাপার আমার কাছে। মাঝে মাঝেই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন কিছু ট্রেন্ড শুরু হয়। সেই ট্রেন্ডের অংশ হওয়াটা কিন্তু খুব ভাগ্যের ব্যাপার। ‘স্ত্রী’ ছবিটা যেমন। অমর কৌশিক একজন বড় মাপের নির্দেশক।
প্র: ‘সাহো’র অভিজ্ঞতা কেমন ?
উ: এখনও পর্যন্ত আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি এটা। আন্তর্জাতিক স্টান্ট টিমের সঙ্গে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতাটা খুব অন্য রকম ছিল। ‘সাহো’র পাশাপাশি ‘স্ট্রিট ডান্সার’-এর শুটও করছিলাম তখন। তাই চোট পেয়েছিলাম অনেক বার। মাসল পুল, মাসল স্ট্রেস কী হয়নি! সেটে সব সময়ে ফিজিওথেরাপিস্ট থাকতেন। শটের ফাঁকে ফাঁকে ওঁর কাছে সেশন নিতাম। গত বছর সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গি হয়েছিল। তার পর থেকেই আমি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। অনেক দিন পর্যন্ত জয়েন্ট পেন ছিল।
প্র: প্রভাস বলেছেন, রোম্যান্টিক দৃশ্যে আপনি ওঁকে খুব সাহায্য করেছেন। আপনার কী অভিজ্ঞতা?
উ: প্রভাস ভীষণ সহজ-সরল। এত বড় সুপারস্টার, অথচ কি ডাউন টু আর্থ! শুটিংয়ের সময়ে হায়দরাবাদ আমার দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে গিয়েছিল। আর সেই সময়ে আমি প্রভাসের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি আন্তরিকতা পেয়েছিলাম। সেটে রোজ প্রভাস আমার আর আমার টিমের জন্য নিত্যনতুন হায়দরাবাদি রান্না নিয়ে আসত!
প্র: সাইনা নেহওয়ালের বায়োপিক হাতছাড়া হয়ে আফসোস হয়েছে?
উ: অনেক খেটেছিলাম ছবিটার জন্য। ব্যাডমিন্টন কোর্টে অনেক সময় কাটিয়েছি। তবে ঠিক সেই সময়ে আমার ডেঙ্গি হল। শারীরিক ভাবেও আমার পক্ষে তখন সাইনার চরিত্রটায় আর কিছু দেওয়া সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত ছবিটা করতে না পারায় মন খারাপ তো হয়েছিলই। তবে এখন আর আফসোস নেই খুব একটা। পরিণীতি খুব ভাল কাজ করবে, সেটা আমি জানি।
প্র: প্রত্যেক বছর সপরিবার বেড়াতে যান আপনি। এই ব্রেকটা কি সচেতন ভাবেই নেন?
উ: একদম। আমার বাবা (শক্তি কপূর) দুনিয়ার সবচেয়ে বড় কার্টুন! সারা ট্রিপে বাবা ভীষণ মজা করতে থাকেন। আমি আর বাবা বিভিন্ন রাস্তায় হেঁটে বেড়াই, স্ট্রিট ফুড খাই... দিন গুনছি, কবে আবার বেড়াতে যাব।
প্র: নিজের আলাদা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আপনি এখনও মা-বাবার সঙ্গে থাকেন!
উ: বাড়িটা কিনেছিলাম একা নিজের মতো থাকব বলেই। কিন্তু এক-দু’দিন থাকার পরেই আমি মা-বাবাকে ভীষণ মিস করতে শুরু করলাম। তাই যে বাড়িতে আমার জন্ম, সেখানেই ফিরে এলাম আবার। সব স্মৃতি, অনেক ভাল লাগার মুহূর্ত জড়িয়ে আছে এই বাড়িটার সঙ্গে। আমার মা খুবই সিম্পল। বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে এখন সংসারের অর্ধেক খরচ আমিই দিই। বাড়ির জন্য এটুকু করতে পেরে খুব ভাল লাগে আমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy