Advertisement
১৮ মে ২০২৪

রাইমাকে নিয়ে উন্মাদনা তিস্তার চরে

খ্যাতনামা লেখক আবুল বাশারের উপন্যাস ‘ভোরের প্রসূতি’-র প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই এই ছবির কাহিনি এগিয়েছে।

তারকা: মেখলিগঞ্জে শ্যুটিংয়ে রাইমা সেন। নিজস্ব চিত্র

তারকা: মেখলিগঞ্জে শ্যুটিংয়ে রাইমা সেন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৫
Share: Save:

তিস্তা নদীর চর জুড়ে তৈরি হয়েছে খড়ের ছোট ছোট বাড়ি। পাশে নদীর ধার দিয়ে চলছে মিছিল। লাগোয়া এলাকায় স্লোগানের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়তেই কৌতূহলী হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। মিছিলের পুরোভাগে থাকা ‘সিতারা’র কথা চাউর হতেই কিছু ক্ষণের মধ্যে ভিড় জমে যায় দর্শনার্থীদের।

কোচবিহারের প্রত্যন্ত মেখলিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় আসলে চলছিল একটি বাংলা ছবির শ্যুটিং। ছবিতে টলিউডের অভিনেত্রী রাইমা সেন যেমন আছেন, তেমনই মুম্বই, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বাংলাদেশের শিল্পীও রয়েছেন। নির্মাতারা জানান, ছবির নাম ‘সিতারা’। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন রাইমা। কয়েক দিন থেকেই মেখলিগঞ্জে ঘাঁটি করে ওই ছবির শ্যুটিং করছেন পরিচালক আশিস রায়। এ দিন সকাল থেকেই রাইমাকে একবার চাক্ষুষ করতে ব্যাপক ভিড় হয়। পরিচালক বলেন, “ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রাইমা। তিস্তা নদীর চরে ছবির সত্তর শতাংশ শ্যুটিং হবে। বিভিন্ন দৃশ্য গ্রহণে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিচ্ছি।”

ওই ছবিতেই একটি দৃশ্যে অভিনয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ। ভূষণবাবু বলেন, “পরিচালক ফোন করেছিলেন। একটি দৃশ্যে অভিনয়ের আমন্ত্রণ এসেছে। সন্মতি দিয়েছি।” বাংলা ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য কোচবিহারের ওই প্রত্যন্ত এলাকাকে বেছে নেওয়ায় খুশি বাসিন্দারাও। মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা দেবজ্যোতি রায়লস্কর বলেন, “ডুয়ার্সে বহু ছবির শ্যুটিং হয়। কিন্তু কোচবিহারেও যে শ্যুটিংয়ের পরিকাঠামো রয়েছে এর থেকেই তা স্পষ্ট। মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে ভাল লাগছে।”

পরিচালক জানিয়েছেন, খ্যাতনামা লেখক আবুল বাশারের উপন্যাস ‘ভোরের প্রসূতি’-র প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই এই ছবির কাহিনি এগিয়েছে। সীমান্তের নানা ঘটনা পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হবে। দেখানো হবে সেখানকার এক নারীর লড়াইয়ের কাহিনিও। নির্মাতাদের দাবি, ছবি জনপ্রিয় হবেই।

সব মিলিয়ে আশার আলো দেখছেন প্রশাসনের কর্তারাও। নদী, নদীর চর, সবুজ বনাঞ্চল থেকে ইতিহাস বিজড়িত প্রাচীন নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে কোচবিহারের সর্বত্র। তাঁদের আশা, এই ছবি মুক্তি পেলে জেলার এই প্রাকৃতিক সম্পদের কথা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে। যা আরও বেশি করে আকর্ষণ করবে পর্যটকদের। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “জেলাজুড়েই নানা সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে। সে সব পর্দায় তুলে ধরার ওই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে আবেদনের ভিত্তিতে ওদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ রাখা হয়েছে। আরও কয়েক দিন ওদের কাজ করার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Raima Sen Mekhliganj Movie Shoot
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE