বাস্তবে মা হওয়ার আগেই পর্দায় ‘মা’ তৃণা সাহা? ‘ড্যাডি’কে খুব মনে পড়ছে ? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল অভিনেত্রীর কাছে। তৃণার জবাব, ‘‘আমার পর্দার ড্যাডি থাকলে দৃশ্যগুলোই অন্য রকম হত। খুব হুল্লোড় হত। ড্যাডি তো ভীষণ মজার মানুষ! ‘ছিলেন’ বলতেই কেমন লাগছে!’’
মা হয়েছে ‘গুনগুন’, দেখা হল না ‘ড্যাডি’র।
ছেলে হয়েছে গুনগুনের। আনন্দে ভাসছে মুখোপাধ্যায় পরিবার। সৌজন্য থেকে মিষ্টি হয়ে পটকা, জেঠাই— সবাই খুশিতে মাতোয়ারা। এমন আনন্দের দিনেই গুনগুনের পাশে নেই তার ড্যাডি! মেয়ের অজান্তে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তাই আনন্দেও মনখারাপ ছায়া ফেলেছে। সকলের একটাই আফশোস। মেয়ের ঘরে নাতি হল। দেখে যেতে পারলেন না ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে সদ্য প্রয়াত চিকিৎসক ‘কৌশিক বসু’ ওরফে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
‘খড়কুটো’, ‘মোহর’, ‘ইস্মার্ট জোড়ি’-সহ একাধিক ধারাবাহিক, রিয়্যালিটি শো জুড়ে ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, ধারাবাহিকে তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করবে কে? ‘মোহর’-এ প্রথম চিত্রনাট্য বদলে দেখানো হয়, মৃত্যু হয়েছে শঙ্খের বাবা আদি স্যরের। তার কিছু দিন পরেই অবশ্য শেষ হয়ে যায় ধারাবাহিক। কিন্তু ‘খড়কুটো’ সেই পর্যায়ে নেই। ‘গুনগুন’ ওরফে তৃণা সাহা অন্তঃসত্ত্বা। তা হলে কি অভিষেকের জায়গায় কাউকে আনা হবে?
আনন্দবাজার অনলাইনকে ‘পটকা’ ওরফে অম্বরীশ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের পরিপূরক কেউ হতে পারবেন না। দর্শকেরাও তাঁর জায়গায় কাউকে মেনে নিতে পারবেন না। কাহিনিকার ধীরে ধীরে তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আনবেন। সেই অনুযায়ী, গুনগুন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে মুখোপাধ্যায় পরিবারের সবাই জানতে পারেন, ডা. কৌশিক বসু আর নেই। শুধু জানে না তাঁর পর্দার মেয়ে।
বাস্তবে মা হওয়ার আগেই পর্দায় ‘মা’ তৃণা সাহা? ‘ড্যাডি’কে খুব মনে পড়ছে ? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল অভিনেত্রীর কাছে। তৃণার জবাব, ‘‘আমার পর্দার ড্যাডি থাকলে আজ দৃশ্যগুলোই অন্য রকম হত। খুব হুল্লোড় হত। ড্যাডি তো ভীষণ মজার মানুষ! ‘ছিলেন’ বলতেই কেমন যেন লাগছে।’’ স্বামী নীল ভট্টাচার্য কী বলছেন? এ বার উত্তরে হাসির ছোঁয়া, ‘‘আমরা অভিনেতা। তাই পর্দা আর বাস্তবকে গুলিয়ে ফেলি না। তবে নীলও মজা করে জানতে চেয়েছে, কী হল? ছেলে না মেয়ে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy