১
নাগাড়ে অফিসের কাজে বাইরে ঘোরা। ত্বকের দফারফা। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন তাই মাস্ট।
২
অফিসে থাকুন বা বাড়িতে, দিনে অন্তত দু-তিন বার ত্বককে ডিটক্স করুন। ডাবের জলে লেবুর রস মিশিয়ে খান। গাজর-টমেটোর জুসের সঙ্গে বা শশার রসের সঙ্গে লেবু মিশিয়েও খেতে পারেন।
৩
সারাদিনের কাজের পর বাড়ি ফিরে ভাবলেন কোনও রকমে মুখ ধুয়ে নাইটক্রিম লাগিয়ে নিলেই ব্যস্। হয়ে গেল ত্বকের যত্ন। ব্যাপারটা এত সহজ নয়। ডেড সেল পরিষ্কার করতে স্ক্রাবিং করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। তবে মুখে স্ক্রাব ঘষবেন না। কালো হয়ে যাবেন। স্ক্রাব মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। করতে পারেন ভেজ পিলিং-ও। স্নানের সময় জলে খাবার সোডা মিশিয়ে নিন। বডি অয়েল, গুঁড়ো হলুদ, বেসন মিশিয়ে সারা গায়ে ঘষলে ময়লা এমনিই বেরিয়ে যাবে।
৪
ব্রণ থাকলে এখন থেকেই যত্ন নিন। রাতে ঘুমোনোর আগে লাগান মুলতানি মাটি আর বোরিক পাউডারের প্যাক। পুজোর আগে সপ্তাহে অন্তত দু’বার অর্গ্যানিক ফেসিয়াল করান লিমপ্যাথেটিক মাসাজের সঙ্গে। এই মাসাজ রক্ত পরিষ্কার করে, রিঙ্কল যায়, হাইপারটেনশন কমায়।
৫
বাইরে কড়া রোদ। দূষণ। অফিসে এসির কনকনে ঠান্ডা। চুল নাজেহাল। হেয়ার স্ট্রেটনিং করলে সমস্যা আরও বেশি। তিলের তেলের সঙ্গে গ্লিসারিন বা ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ডিম-দই মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখবেন। আধ ঘণ্টা। সপ্তাহে দু’দিন। তবে ঘষবেন না।
৬
হাত-পা সুন্দর না হলে নেলপলিশ লাগান বা স্টিলেটোজ পরুন— খুব খারাপ লাগবে দেখতে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে চিনি আর লেবুর রস দিয়ে ভাল করে স্ক্রাবিং করুন হাতে। তার পর লাগিয়ে নিন বডি ময়েশ্চারাইজার। পার্ল বা গোল্ড ফেসওয়াশ উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে পা ডুবিয়ে পিউমিস স্টোন দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করুন। ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। পার্লারে গিয়ে অয়েল বেস পেডিকিয়োর করতে পারলে কথাই নেই।
৭
মেক আপ করবেন কী পোশাক পরছেন সেটা মাথায় রেখে। হেয়ার স্টাইলও। যেমন রিপড জিনস বা মিডির সঙ্গে জেল দিয়ে ওয়েট লুক-এর হেয়ারস্টাইল। আর ব্যাগি ড্রেসের সঙ্গে খোলা চুলের ওয়াইল্ড লুক। ট্র্যাডিশনাল পোশাকের সঙ্গে টপ নট, বাঙালি জোড়া বা টং কার্ল। যেমন শাড়ির সঙ্গে অগোছালো হাতখোঁপা। সামনে সিঁথি।
৮
গর্জাস ড্রেস পরলে নো মেক আপ লুক। চুলটা ঠিকঠাক স্টাইল করে চোখে দিন কাজলের টান। লিপ ডিফাইন করার দরকার নেই। লিপস্টিকটা ঠোঁটে ভাল মতো লাগিয়ে ধার বরাবর স্মাজ করে দিলেই হল।
৯
রাতজেগে ঠাকুর দেখা। আমন্ড অয়েল মাসাজ। সঙ্গে গোলাপের পাপড়ি বেটে চোখের ওপর লাগিয়ে রাখুন। আবার রাত জাগার জন্য চোখ তৈরি।
১০
যতই কাজ থাক, সাত ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। সারা দিনে প্রচুর জল ছাড়াও ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে এমন খাবার খান বেশি করে। টক দইয়ের ডায়েটটা তাই মাস্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy