মিঠুন-মিমো। ছবি: সংগৃহীত।
তারকাসন্তান হয়েও স্পটলাইট কেড়ে নিতে পারেননি তিনি। তা নিয়ে রয়েছে আক্ষেপ। যদিও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীর পুত্র মহাক্ষয়, ওরফে মিমো চক্রবর্তী। চলতি বছর মুক্তি পেয়ছে তাঁর অভিনীত ‘জোগিরা সা রা রা’। হাতে রয়েছে আরও কিছু নতুন কাজ। কর্মব্যস্ততার মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন মিঠুন-পুত্র।
মিমোর দাবি, কঠিন সময়ে বলিউডের দু’জনকে ছাড়া পাশে পাননি কাউকে। অভিনেতা সম্প্রতি জানালেন, লড়াইয়ের সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা সলমন খান এবং পরিচালক কর্ণ জোহর। এই দু’জন সাহায্য করেছিলেন উদীয়মান মিমোকে।
যখন পায়ের তলায় জমি শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মিমো, বাবা-মাকেও অনুরোধ করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের সহকর্মীদের বলতে। তারকাসন্তান হয়ে কিছু সহযোগিতা আশা করেছিলেন তিনিও। তবে লাভ হয়নি। মিমোর কথায়, “কেউ কেউ সাহায্য করার অভয় দিয়েছিলেন। বেশির ভাগই নানা ছুতোয় সাড়া দেননি।”
তবে মিমো স্বীকার করে নেন, উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ঘটেছিল সলমন এবং কর্ণের ক্ষেত্রে। দু’জনেই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত।
সলমন অনেক সদুপদেশ দিয়েছেন মিমোকে। তাঁর সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেন, সঙ্গ দিতেন। কর্ণ আবার শুধুই মিমোকেই সাহায্য করেননি, তাঁর ভাই নমশিকেও রাস্তা দেখিয়েছিলেন।
ইন্ডাস্ট্রির অনেক লোকজন এবং প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে মিমোর যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন কর্ণ, যাতে তিনি কাজ পান। তবে মিমোর মতে বাকিটা তাঁর ভাগ্য।
মিমোর প্রথম ছবি ‘জিমি’ (২০০৮) অবশ্য বক্স অফিসে শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হয়। নিজে তো ভেঙে পড়েইছিলেন অভিনেতা, সেই সঙ্গে হতাশ হয়েছিলেন বাবা মিঠুন এবং মা যোগিতা। তবে পরবর্তী কালে ‘হন্টেড থ্রিডি’ ( ২০১১), ‘জোগিরা সা রা রা’ (২০২৩)-র মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy