নীলিমা
পরিচিতির এই রূপান্তর অভিনেত্রী নীলিমা কী ভাবে দেখেন? ‘‘এটা পরিচিতির বদল নয়। বরং শাহিদ আর ঈশান আমার ব্যক্তিসত্তার বিস্তৃতি। ওরা তো আমারই রক্ত। ওদের মা হওয়া আমার কাছে গর্বের, সম্মানের। ওদের যখন অভিনয় করতে দেখি, তখন শিল্পী হিসেবে অনেক কিছু শিখি। আর যখন ওরা নাচে, তখন তো ওদের মধ্যে নিজেকেই দেখতে পাই,’’ আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললেন তিনি।
‘মম অ্যান্ড কোং’ ওয়েব শোয়ে সুহাসিনী রাও নামে মরাঠি সিঙ্গল মাদারের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সুহাসিনীর চেয়ে নীলিমা কতটা আলাদা? ‘‘মিলই বেশি। আসলে সব মা-ই তো কোনও না কোনও জায়গায় এক। তবে সিঙ্গল মাদাররা অন্য মায়েদের চেয়ে একটু বেশি একাকিত্বে ভোগেন। সুহাসিনীর এই বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারি। বাস্তবে দুই ছেলের মা বলে জানি, বাড়িতে দ্বিতীয় কোনও মহিলা না থাকলে এক জন মেয়ের মানসিক ও জৈবিক চাহিদা ছেলেরা সব সময়ে বুঝতে পারে না। সেটাও আমার সঙ্গে সুহাসিনীর মিলই বলা যায়। তবে যেটা অমিল সেটা হল, সুহাসিনীর জীবনযাপন আমার চেয়ে সহজ। সুহাসিনী কখনও বাইরে কাজ করেনি। আর আমি দশ বছর বয়স থেকে থিয়েটার, নাচের জগতের সঙ্গে যুক্ত।’’
শাশুড়ি মা হিসেবে নিজেকে কত নম্বর দেবেন? ‘‘এর উত্তর তো মীরা (শাহিদের স্ত্রী) ভাল দিতে পারবে। এটুকু বলতে পারি, আমাদের দু’জনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে।’’
অভিনয় জগৎ থেকে এত বছর দূরে থাকলেও নীলিমা প্রচুর সিনেমা দেখেন। তাঁর পছন্দের তালিকাও লম্বা। আলিয়া ভট্ট থেকে রাধিকা আপ্টে, ভিকি কৌশল থেকে রণবীর সিংহ—সকলের সাম্প্রতিক ছবি তাঁর দেখা। তবে একটি অভিযোগও রয়েছে, ‘‘ছেলেদের সিনেমার সেটে গিয়ে দেখেছি, এই প্রজন্ম বড়দের শ্রদ্ধা করা ও অন্যান্য ব্যাপারে বেশ ক্যাজুয়াল। আমাদের সময়ে কিন্তু এ রকম ছিল না। একেই বোধ হয় জেনারেশন গ্যাপ বলে,’’ অকপট নীলিমা।
মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy