সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রর জন্য অস্কার জিতে নিল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। ছবি: সংগৃহীত
৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রথম অস্কার পেল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল গুনীত মোঙ্গা প্রযোজিত এই ছবি। ‘হাউ টু মেজ়ার আ ইয়ার’, ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ এর মতো ছবিকে টেক্কা দিয়ে অস্কার জিতে নিল তামিল ভাষার এই তথ্যচিত্র। ভারত থেকে এ বছর ছিল তিন-তিনটি মনোনয়ন। এস এস রাজামৌলীর ‘আরআরআর’ ছবির ‘নাটু নাটু’ গানটিও মনোনীত সেরা গানের বিভাগে। ফিচার তথ্যচিত্র বিভাগে ছিল বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ছবি ‘অল দ্যাট ব্রিদ্স’। যদিও জিততে পারেননি শৌনক। এই জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে গুনীত লিখেছেন, ‘‘এই জয় সব নারীর জন্য।’’
এ বছর গুনীত মোঙ্গা প্রযোজিত এবং কার্তিকি গনসালভেস পরিচালিত ‘দ্য এলিফেন্ট হুইস্পারার্স’, প্রথম কোনও ভারতীয় ছবি যা অস্কার আনল ভারতে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কিছু ভারতীয় তথ্যচিত্র মনোনীত হয়েছিল এই বিভাগে। তবে শেষমেশ অস্কার এল দুই নারীর হাত ধরে। হস্তীশাবক রঘু ও দুই মাহুতের জীবনযাপন ঘিরে এই গল্প। এক দুর্ঘটনার পরে রঘুকে নিয়ে আসা হয় বোমান ও বেলির কাছে, যাঁরা তার ক্ষত সারিয়ে পালন-পোষণ করে বড় করে তোলে। বোমান ও বেলির গোটা জীবটাই আবর্তিত এই হস্তীশাবককে ঘিরে। তিন ত্রয়ী পারস্পরিক রসায়নকে পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস। প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছেন গুনীত মোঙ্গা। ছবি দেখা যাচ্ছে নেটফ্লিক্সে। অস্কার জয়ের পর পরিচালক কার্তিকি বলেন, ‘‘আমার মাতৃভূমি ভারতের জন্য।’’
এই বিভাগে এখনও পর্যন্ত ভারত থেকে মনোনয়ন পেয়েছিল মোট তিনটি ছবি। ‘দ্য হাউজ দ্যাট আনন্দ বিল্ট’ (১৯৬৯) এবং ‘অ্যান এনকাউন্টার উইথ ফেসেস’ (১৯৭৯)-এর পর মনোনয়ন পেয়েছিল কার্তিকির এই ছবিটি। অবশেষে ঘরে অস্কার আনল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy