Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Kapoor Haveli

রাজ কপূর, দিলীপ কুমারের বাড়ি অধিগ্রহণে অর্থ মঞ্জুর

অবিভক্ত ভারতে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের কিসসা খোওয়ানি বাজারে রাজ কপূরের পিতামহ দিওয়ান বশেতশ্বরনাথ কপূর ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে ১৫১.৭৫ বর্গমিটার জমির উপরে গড়ে তোলেন ‘কপূর হাভেলি’।

পেশোয়ারে কপূর হাভেলি। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

পেশোয়ারে কপূর হাভেলি। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

সংবাদ সংস্থা
পেশোয়ার শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪৭
Share: Save:

সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এ বারে অভিনেতা রাজ কপূর ও দিলীপ কুমারের পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের বাড়ি দু’টি কিনে নিতে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করল সেখানকার প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মেহমুদ খান। এই বাড়ি দু’টি অধিগ্রহণ করে নিয়ে সেগুলি ঐতিহ্যপূর্ণ ভবন হিসেবে পাক সরকার সংরক্ষণ করবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হবে সংগ্রহশালাও। বর্তমানে দু’টি বাড়িরই অবস্থা বেশ খারাপ। সে কারণেই সেগুলির আশু সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ ও পাক সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগের কর্তাদের। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দু’টি বাড়িকে ইতিমধ্যেই জাতীয় ঐতিহ্যপূর্ণ ভবন হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

অবিভক্ত ভারতে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের কিসসা খোওয়ানি বাজারে রাজ কপূরের পিতামহ দিওয়ান বশেতশ্বরনাথ কপূর ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে ১৫১.৭৫ বর্গমিটার জমির উপরে গড়ে তোলেন ‘কপূর হাভেলি’। ওই বাড়িতেই জন্ম হয়েছিল রাজ কপূর ও তাঁর কাকা ত্রিলোক কপূরের। বাড়িটিকে আগেই জাতীয় ঐতিহ্যপূর্ণ ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছিল খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের সরকার। ওই এলাকাতেই প্রায় ১০০ বছর আগে ১০১ বর্গমিটার জমির উপরে তৈরি হয়েছিল অভিনেতা দিলীপ কুমারের পূর্বপুরুষদের বাড়িটি। সেই বাড়িটির অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। নওয়াজ শরিফ সরকার ২০১৪ সালে বাড়িটিকে জাতীয় ঐতিহ্যপূর্ণ ভবন হিসেবে ঘোষণা করে। তার পর থেকেই দু’টি বাড়িকে অধিগ্রহণ করে ঐতিহ্যশালী ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে পাক সরকার। রাজ কপূরদের ‘কপূর হাভেলি’র জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা এবং দিলীপ কুমারের বাড়িটির জন্য ৮০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ধাম ধার্ষ করা হয়। সেই টাকা দ্রুত মিটিয়ে বাড়ি দু’টি অবিলম্বে হাতে নিতে চায় প্রাদেশিক সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ।

বাড়ি দু’টির বর্তমান মালিকপক্ষ বেশ কিছু দিন ধরেই ওই রকম জমজমাট এলাকায় থাকা ভগ্নপ্রায় বাড়িগুলি ভেঙে বহুতল বিপণি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার পুরাতত্ত্ব বিভাগ বাড়ি দু’টির ইতিহাসিক মূল্য বিবেচনা করে সেগুলি ভাঙতে বাধা দেয়। তার পরেই সেগুলিকে দ্রুত অধিগ্রহণ করে সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা নিতে শুরু করে প্রাদেশিক সরকার।

আরও পড়ুন: নতুন বছরে ‘রশিদ-মুখার্জি-খান’, গঙ্গা-পদ্মা মিশিয়ে দিলেন মিথিলা

আরও পড়ুন: কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের লোগো উন্মোচিত হল সাংবাদিক সম্মেলনে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE