পরিণীতি চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে পরিণীতি চোপড়ার অভিষেক হয়েছে প্রায় এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহল’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় পরিণীতিকে। বক্স অফিসে এই ছবি তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তার ঠিক পরের বছরই ২০১২ সালে যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইশকজ়াদে’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান পরিণীতি। এই ছবিতে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ করেন অর্জুন কপূর। এই ছবিতে অভিনয় করে একাধিক পুরস্কার পান তিনি। রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসে্ন প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার এই তুতো বোন। তার পর ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’, ‘হাসে তো ফাঁসে’র মতো রোম্যান্টিক ঘরানার ছবিতে অভিনয় করেন পরিণীতি। দু’টি ছবিই ভাল ব্যবসা করে এবং পরিণীতির অভিনয় যথেষ্ট প্রশংসা পায়। তবে ২০১৪ সাল থেকে অস্তমিত হতে শুরু করে তাঁর কেরিয়ার। পর পর ছবি ব্যর্থ হওয়ায় মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অভিনয়ের পাশপাশি বিকল্প পেশা হিসেবে গানকে বেছে নেন। কিন্তু সেখানেও সমালোচনার মুখে পরিণীতি। তবে ‘চমকিলা’ মুক্তি পেতেই যেন ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা।
পঞ্জাবি গায়ক ‘অমর সিংহ চমকিলা’কে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই জীবনীচিত্র। ১২ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবিতে গায়কের স্ত্রী অমরজোৎ কউরের চরিত্রে দেখা গিয়েছে পরিণীতিকে। আশির দশকে পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক ছিলেন অমর সিংহ ওরফে চমকিলা। মাত্র ২৭ বছর বয়সে ভরা আসরে আততায়ীদের হাতে খুন হন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। এমনই এক চরিত্রকে নিয়ে ছবি করেছেন পরিচালক ইমতিয়াজ় আলি। সেই ছবিতে গায়কের স্ত্রীর চরিত্রে নজর কেড়েছেন পরিণীতি। সমালোচক থেকে দর্শক, সকলেরই প্রশংসা কুড়োচ্ছে এই ছবি। তবে অনেকেরই ধারণা, পরিণীতির যেন প্রত্যাবর্তন হল এই ছবির হাত ধরে। যাঁরা ভেবেছিলেন, পরিণীতির কেরিয়ার শেষ, তাঁদের উদ্দেশে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমি ফিরে এসেছি, আর কোথাও যাচ্ছি না।’’ পাশপশি অভিনেত্রী জানান, সকলের প্রশংসা ও রিভিউ পেয়ে তিনি আপ্লুত। কান্না থামছে না। অবশ্যই তা খুশির অশ্রু। যদিও এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, এই ছবির জন্য রাজি হয়েছিলেন গান গাইতে পারবেন বলেই। আসলে এই ছবিতে টুকরো টুকরো করে প্রায় ১৫টির উপর গান রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy