দাপটে: সম্প্রতি দুর্গাপুরের এক মাল্টিপ্লেক্সে। নিজস্ব চিত্র
হিন্দি, বাংলা বা ইংরেজির পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে দিনে একটি করে শো চালু করেছিলেন মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে যে এমন সাড়া মিলবে, আশা করেননি তাঁরা। দুর্গাপুরে তেলগু ভাষার সিনেমার শো-এ নিয়মিত ভিড় দেখে খুশি শহরের তিনটি মাল্টিপ্লেক্সের কর্তারা।
‘বাহুবলী ২-দ্য কনক্লুশন’-এর হিন্দি ভাষার শো-এ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাল ভিড় হচ্ছে। দুর্গাপুরে মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে হিন্দির সঙ্গেই তেলগুতেও ওই সিনেমার শো চলেছে। তাতে গড়ে ৭০ শতাংশ আসন ভর্তি ছিল বলে জানান মাল্টিপ্লেক্সগুলির কর্তৃপক্ষ। জাতীয় সড়কের ধারের একটি মাল্টিপ্লেক্সের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শুধু বাহুবলী নয়, এর আগেও বহু তেলগু সিনেমা দুর্গাপুরে ভাল ব্যবসা করেছে। যেমন, খিলাড়়ি নম্বর ১, কাটামারায়ান্ডু, নেনু লোকাল, শাতামানাম ভবতি।’’
নানা মাল্টিপ্লেক্সের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সব সময় না হলেও কিছু দিন অন্তর কোনও না কোনও তেলগু সিনেমা চলে। দিনে একটি করে শো রাখা হয়। দর্শক হয় ভালই। কী ভাবে দুর্গাপুরে তেলগু সিনেমার চল হল? মাল্টিপ্লেক্সগুলি সূত্রে জানা যায়, সে ভাবে পরিকল্পনা করে তারা চালু করেনি। বিভিন্ন কল-কারখানায় ভিন্ রাজ্য থেকে শ্রমিক-কর্মীরা দুর্গাপুরে আসেন। আবার বহু বেসরকারি হাসপাতালেও ভিন্ রাজ্যের অনেকে কাজ করেন। অধিকাংশই হিন্দি সিনেমা দেখেন। কিন্তু দক্ষিণ ভারত থেকে আসা মানুষজন তেলগু সিনেমা দেখতে বেশি পছন্দ করেন। সে সব ভেবেই প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে তেলগু সিনেমা আনা হয়েছিল। পরে তা প্রায় রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
শহরে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বহু কল-কারখানায় কাজ করেন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ইত্যাদি রাজ্য থেকে আসা বহু মানুষ। কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে এসে অনেকে পরিবার নিয়েও বাস করেন। কেউ-কেউ স্থায়ী বাসিন্দাও হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের অনেকে তেলগু ভাষার সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন। এমনই এক বাসিন্দা ডিএনভি রমেশ রাতুড়িয়া শিল্পতালুকের একটি কারখানায় কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘এখানে নিজের ভাষায় কথা বলার লোক তেমন পাই না। কিন্তু সিনেমা হলে নিজের ভাষার সিনেমা দেখার সুযোগ পেলে ছাড়ি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy