শ্যুটিংয়ে বাধায় ক্ষোভের চোরাস্রোত মালুম হচ্ছিল আগেই। বিলেতে বাংলা ছবির শ্যুটিং পণ্ড হওয়ার জেরে এ বার শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের নিয়ন্ত্রণাধীন, টালিগঞ্জের কলাকুশলীদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়র্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধের ডাক দিয়েছে প্রযোজক-পরিবেশকদের সংগঠন ইম্পা (ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন)।
ইম্পা-র প্রযোজক শাখার চেয়ারম্যান কৃষ্ণনারায়ণ দাগা চান প্রশাসনের শীর্ষ স্তর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুক। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে আগামী ২৫ জুলাই এক দিনের প্রতীকি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তিনি। দাবি না-মিটলে তারা ফেডারেশনকে অস্বীকার করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইম্পা।
সম্প্রতি ফেডারেশনের চাহিদা মতো ১৯ জন কলাকুশলীকে ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়নি অভিযোগ তুলে সেখানে ‘এস কে মুভিজ’ সংস্থার শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ওই ফিল্ম নির্মাতা সংস্থাটিকে এ রাজ্যে শ্যুটিং করতে দেওয়া হবে না-বলে ঘোষণা করে দেয় ফেডারেশন। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই তথা ফেডারেশন কর্তা স্বরূপ বিশ্বাসের অবশ্য দাবি, ‘‘ইম্পা-র সঙ্গে আলোচনা করেই এস কে মুভিজ-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন ইম্পা এটা মানছে না।’’ ইন্ডাস্ট্রি সূত্রের খবর, বেগতিক দেখে স্বরূপ এখন আলোচনায় বসতে চাইছেন।
আরও পড়ুন:‘মেঘনাদবধ রহস্য’ মুক্তির দিন পিছোল
সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফেডারেশনের তুঘলকি ফতোয়ায় প্রযোজক-পরিচালকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। ‘শঙ্খচিল’ ছবিটির শ্যুটিংয়ে দরকার না-থাকলেও বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে ট্রলি ঠেলার লোক নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে এ দিন অভিযোগ তুলেছেন ছবিটির কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্যামল দত্ত। ফেডারেশনের পছন্দ মতো কলাকুশলী না-নিয়ে যাওয়ায় মুম্বইয়ের ‘ইরোজ ফিল্মস’ প্রয়োজিত একটি বাংলা ছবির রাজস্থানে গানের শ্যুটিং বাতিল করা হয় বলেও অভিযোগ।
ইম্পা-র দাবি, এখনই এস কে মুভিজ-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে ও কলাকুশলীদের সংখ্যা নিয়ে দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে।
কলাকুশলী নিয়োগ নিয়ে ফেডারেশন-ইম্পা চুক্তির মেয়াদ দু’বছর আগে শেষ হয়েছে। তা রিনিউ করতে চান না বলেও কৃষ্ণ দাগা জানান। টালিগঞ্জে পরিচালকদের গিল্ডের কর্তা অশোক বিশ্বনাথন বা ইম্পা ও ফেডারেশনের যৌথ কমিটির সদস্য ঋতব্রত ভট্টাচার্যরাও এ দিন ফেডারেশনের ভূমিকার নিন্দা করেছেন। প্রয়োজক অতনু রায়চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে না-এলেও ইম্পা-র দাবির প্রতি নৈতিক সমর্থন জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy