বুধবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি ভেজা নন্দন চত্বর। —নিজস্ব চিত্র।
সব ঠিকঠাক ছিল। বুধবার বেলা বাড়তেই নন্দন চত্বরে ভিড় হতে শুরু করে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের জন্য সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুর গড়াতেই শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। ডিসেম্বর মাসের বৃষ্টির জন্য তৈরি ছিলেন না সিনেপ্রেমীদের অনেকেই। ফলে তাল কাটল চলচ্চিত্র উৎসবের।
মিগজাউম ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই চেন্নাইয়ের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি। বুধবার থেকে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যে বৃষ্টি হতে পারে তা আগেই জানিয়েছিল হওয়া অফিস। বুধবার দুপুরে নন্দন ফয়ারে আয়োজিত মৃণাল সেনের উপর প্রদর্শনীর (মৃণাল সেন: দ্য ম্যাভেরিক) উদ্বোধন করেন অঞ্জন দত্ত, মমতা শঙ্কর, রঞ্জিত মল্লিক, গৌতম ঘোষ। তার পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। তার পরেও দর্শকদের ছবি দেখার উৎসাহে ভাটা লক্ষ করা যায়নি। কিছু ক্ষণ পর বৃষ্টিও থেমে যায়।
এ দিকে সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় ফের বৃষ্টি। নন্দনে আগত সিনেপ্রেমীদের সকলের কাছে ছাতা না থাকায় অনেকেই নন্দনের মূল ভবনে আশ্রয় নেন। বৃষ্টি বাড়তেই ভিড় পাতলা হতে শুরু করে। চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে নন্দন চত্বর বিভিন্ন ইনস্টলেশনের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বৃষ্টি বাড়তেই তা ঢেকে ফেলা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় একতারা মঞ্চে সিনে আড্ডার বিষয় ছিল ‘পাশ্চাত্য ভাবনাই কি বাংলা সিনেমার অনুপ্রেরণা’। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রভাত রায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, হরনাথ চক্রবর্তী, অরিন্দম শীল, বিরসা দাশগুপ্ত এবং মৈনাক ভৌমিক। তবে বৃষ্টি বাড়তেই সিনে আড্ডায় শ্রোতাদের ভিড় কমতে থাকে। সাধারণত প্রশ্নোত্তর পর্ব মিলিয়ে প্রতি সন্ধায় উৎসবের সিনে আড্ডা চলে প্রায় দু’ঘণ্টা। কিন্তু এ দিন বৃষ্টির জন্য এক ঘণ্টায় শেষ করা হয় সিনে আড্ডা।
উৎসবের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি কি আশা করেছিলেন? সন্তোষপুর থেকে আগত এক সিনেপ্রেমী বললেন, ‘‘আমার খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ সঙ্গে ছাতা রয়েছে।’’ বেহালা থেকে এসেছিলেন তরুণ সিনেপ্রেমী সমর লাহা। বললেন, ‘‘ডেলিগেট কার্ড আছে। পর পর ছবি দেখছি। প্রেক্ষাগৃহে বেশির ভাগ সময় কাটছে। তাই বৃষ্টি নিয়ে ভাবছি না।’’ বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বৃষ্টি কমে গেলে পুনরায় নন্দনে ভিড় বাড়তে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy