রণদীপের মুখাগ্নির পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দলবীরের।
দিদিকে দেওয়া ছ’বছর আগের প্রতিশ্রুতি রাখলেন অভিনেতা রণদীপ হুদা। ২০১৬ সালে সর্বজিৎ সিংয়ের জীবন-নির্ভর ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সে সময় কাজ করতে গিয়ে চরিত্র বোঝার প্রয়োজনে প্রয়াত সর্বজিতের পরিবারের সঙ্গে আলাপ।
সন্ত্রাস ও চরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের বিচারকরা সর্বজিৎকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। অমৃতসরের যুবক যাবজ্জীবন জেল খেটেছিলেন পাকিস্তানে। এ দিকে, দিনরাত তাঁর মুক্তির দাবিতে লড়েছিলেন বোন দলবীর কৌর। যাঁর কাছ থেকে জীবনের লড়াই বুঝতে বুঝতে ‘দিদি-ভাই’য়ের সম্পর্ক পাতিয়ে ফেলেছিলেন রণদীপ। যেন পর্দার বাইরেও সর্বজিৎ হয়ে এসেছিলেন অমৃতসরের সেই পরিবারে। দলবীরের অনুরোধ ছিল রণদীপকে, তিনি মারা যাওয়ার পর ‘ভাই’ হিসেবে কাঁধ দিতে হবে ওঁকে। সেই কথা মতো দলবীরের শেষকৃত্যে ভাইয়ের ভূমিকা নিলেন অভিনেতা। বোনের মুখাগ্নি করলেন তিনি।
২৬ জুন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দলবীরের। খবরটা পাওয়া মাত্রই হন্তদন্ত হয়ে মুম্বই ছেড়ে অমৃতসর রওনা হয়েছিলেন ‘হাইওয়ে’-এর নায়ক। রবিবারই তিনি পঞ্জাবের ভিখিউইন্দ গ্রামে পৌঁছন। যেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন সর্বজিৎ আর দলবীরের পরিবার-সহ গোটা গ্রাম। রণদীপের মুখাগ্নির পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দলবীরের।
ওমং কুমার পরিচালিত ‘সর্বজিৎ’ ছবিতে দলবীরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্যা রাই। ছিলেন আরও অনেক বিশিষ্ট অভিনেতা। সত্য ঘটনা অবলম্বনে সেই ছবিটি বক্স অফিসে আলোড়ন তুলেছিল। তবে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল সর্বজিতের মৃত্যুর তিন বছর পর। শোনা যায়, জেলের মধ্যে অন্য কয়েদিরা তাঁকে খুন করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy