২০২১ সালে রণধীর বলেন, ‘‘আমার দুই ভাই চিম্পু (রাজীব কপূর) এবং চিন্টু (ঋষি কপূর), দু’জনেই চলে গেল। শূন্যতা তৈরি করে দিয়ে গেল ওরা। আমরা তিন জন খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলাম। চিম্পু তো আমার সঙ্গেই থাকত। আর শ্যুটিং না থাকলে চিন্টু আমার অফিসে আসত বা ফোন করে আড্ডা মারত।’’
রণধীর-ঋষি
ঋষি কপূরের মৃত্যুর পর তাঁর অভিনয় করা শেষ ছবি ‘শর্মাজি নমকিন’ গত বৃহস্পতিবার অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে। পুরো ছবির শ্যুটিং শেষ করার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাকি অংশটি তাঁর চরিত্রে অভিনয় করেন পরেশ রওয়াল। সদ্য সেই ছবিটি দেখেছেন প্রয়াত অভিনেতার দাদা রণধীর কপূর। ছবি দেখে বেরিয়ে এসে রণধীর ঋষি-পুত্র রণবীর কপূরকে বলেন, ‘‘ঋষি কোথায়? ওকে অভিনন্দন জানাব। ফোন করো। কথা বলি।’’ করিনা-করিশ্মা কপূরের বাবা রণধীর কি তবে ভুলে গিয়েছেন যে তাঁর ভাই আর নেই?
ডিমেনশিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে রণধীরের মধ্যে। ছবি দেখে বেরোনোর পরের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রণবীর সেই তথ্য দিলেন এক সাক্ষাৎকারে। বললেন, ‘‘আমার জেঠুর মধ্যে ডিমেনশিয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। ভুলে যাচ্ছেন সব।’’
২০২১ সালে রণধীর বলেন, ‘‘আমার দুই ভাই চিম্পু (রাজীব কপূর) এবং চিন্টু (ঋষি কপূর), দু’জনেই চলে গেল। শূন্যতা তৈরি করে দিয়ে গেল ওরা। আমরা তিন জন খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলাম। চিম্পু তো আমার সঙ্গেই থাকত। আর শ্যুটিং না থাকলে চিন্টু আমার অফিসে আসত বা ফোন করে আড্ডা মারত। আমরা একসঙ্গে থাকলে আর কাউকে দরকার পড়ত না। শুধু চিন্টু আর চিম্পুই নয়, গত আড়াই বছরে আমার মা (কৃষ্ণা কপূর) এবং বোন (রীতু নন্দা)-কেও হারিয়েছি।’’
রণধীর জানান, প্রতি দিন দুই ভাইয়ের কথা মনে পড়ে তাঁর। সেই মজার দিনগুলোতে ফিরে যেতে চান তিনি। কিন্তু আক্ষেপ, আর কখনও সেই দিন ফিরবে না।
দীর্ঘ দু’বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ২০২০ সালে সেই রোগের কোপেই প্রয়াত হন অভিনেতা ঋষি কপূর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy