রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা।
গত ২০১৮ সালের ১৭ মে প্রিয়ঙ্কা সরকার আলিপুর আদালতে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের মামলা দায়ের করেন রাহুলের বিরুদ্ধে। গত ১৫-১৬টি শুনানির মধ্যে ৭-৮টি শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন রাহুলের আইনজীবী। এমনকি শুক্রবার ইন্টারিম হিয়ারিং থাকা সত্ত্বেও নাকি অনুপস্থিত ছিলেন রাহুল ও তাঁর আইনজীবী। সে জন্য নাকি শুনানিটি পিছিয়ে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রিয়ঙ্কার আইনজীবী স্মিতেশ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রাহুলের বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের মামলা করেছে। আর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের মামলার সঙ্গে খোরপোশও দাবি করা যায়। আমরা সেটাই করেছি। প্রিয়ঙ্কা ও সহজের জন্য মাসে চার লাখ টাকা করে চাওয়া হয়েছে। অন্য দিকে প্রিয়ঙ্কার উপস্থিতিতে সহজকে মাসে একবার দেখতে চেয়ে মামলা করেছেন রাহুল। মামলা ফাইল হওয়ার পরে ইন্টারিম হিয়ারিংয়ের জন্য দিন স্থির ছিল। কিন্তু এই হিয়ারিংয়ের জন্য গত এক বছর ধরে রাহুলের অ্যাডভোকেট সময় নিয়ে যাচ্ছিলেন কোর্টের কাছ থেকে। শুক্রবার সেই হিয়ারিং ছিল। কিন্তু রাহুল উপস্থিত ছিলেন না। কোর্ট সেই ব্যাপারটি অ্যাডভার্সলি নিয়েছে।’’
হাজিরা না দেওয়ার প্রসঙ্গে রাহুলকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘আমাকে উকিল যখন হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছেন, তখনই দিয়েছি। তা ছাড়া গতকাল শুটিংয়েরও খুব চাপ ছিল। পরের দিন অবশ্যই যাব। হাজিরা না দেওয়া মানে বালির মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে বলা, ঝড় আসছে না। এ ভাবে তো পালানো যায় না। ঘটনাচক্রে এমন শুটিং শিডিউল পড়েছে যে, এড়ানো সম্ভব ছিল না।’’ প্রায় ৭-৮টি শুনানিতে তাঁদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে রাহুলের আইনজীবী সৈকত দত্ত মজুমদার বলেন, ‘‘না, এই বক্তব্য একেবারেই ঠিক নয়। ওঁরা যখন মামলাটা দায়ের করেন এবং মেনটেন্যান্সের দাবি জানান, তখন আমরা একটা লিখিত স্টেটমেন্ট দিই। দেওয়ার পরে ওঁরা একটা রিপ্লাই করেন। তার পর থেকে কোনও পক্ষই হিয়ারিংয়ের জন্য উদ্যোগী ছিলাম না। অ্যাপিয়ার করে দু’ পক্ষই ডেট নিয়ে গিয়েছি। গতকাল ওঁরা হিয়ারিং করতে চেয়েছিলেন। সেখানে আমরা পিটিশন দিয়ে বলি, সিনিয়র আইনজীবী অসুস্থ হওয়ায় হিয়ারিং করতে পারব না। অন্য ডেট চাই। কোর্ট থেকে তা দেওয়া হয়। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট মামলায় ক্লায়েন্ট একবার অ্যাপিয়ার করে গেলে, ইন্টারিম হিয়ারিং হওয়া অবধি ক্লায়েন্টের কোর্টে উপস্থিতির প্রয়োজন নেই।’’
দেখা যাক, রাহুল-প্রিয়ঙ্কার এই মামলার পরিণতি শেষ অবধি কোন দিকে গড়ায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy