সানার প্রতি তাঁর মৌলবি স্বামীর এমন নিষ্ঠুরতা দেখে রেগে গিয়েছেন অনেকেই। অভিনয় ছেড়ে বিয়ের পরে এ কী হাল সানার? ছবি: সংগৃহীত।
রেড কার্পেটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সানা খানের হাত ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বামী, মুফতি আনাস সইদ— এমন দৃশ্য সম্প্রতি ব্যাপক শোরগোল ফেলেছিল সমাজমাধ্যমে। প্রাক্তন টেলিভিশন অভিনেত্রী সানার প্রতি তাঁর মৌলবি স্বামীর এমন নিষ্ঠুরতা দেখে রেগে গিয়েছেন অনেকেই। অভিনয় ছেড়ে বিয়ের পরে এই হাল সানার? প্রশ্ন তুলেছিলেন আশঙ্কিত অনুরাগীরা। যদিও সানা সবাইকে আশ্বস্ত করে বুঝিয়েছিলেন, এ দৃশ্য ‘নির্মম’ নয়, তাঁদের গভীর দাম্পত্যেরই নিদর্শন।
বলিউডে যখন ধীরে ধীরে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছিল, ঠিক সেই সময় ধর্মের জন্য সানা ছাড়েন সিনেদুনিয়া। ‘বিগ বস্’-এর প্রাক্তন প্রতিযোগী সানা। ২০২০ সালের নভেম্বরে সইদের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সানার স্বামী মৌলবি এবং ইসলাম ধর্মের গবেষক। বিয়ের পরই সানা ছেড়েছেন আগের বেশবাস। ধারণ করেছেন হিজাব। তা নিয়ে কম হইচই হয়নি। তবে সুখেই আছেন জুটিতে। ধর্মই কি কাছাকাছি এনেছে যুগলকে? প্রেমকাহিনি ভাগ করে নেন তাঁরা।
মুফতি আনাস সইদ নাকি আগে সানাকে ‘বোন’ (বাজি) বলেই সম্বোধন করতেন। তবে অভিনেত্রী সানার নিষ্ঠাভরে ধর্মাচরণ মুগ্ধ করে সইদকে। সানাকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করেন তিনি। তারকাসুলভ বিলাসব্যসনের পরিবর্তে অভিনেত্রীর সাদামাঠা জীবনচর্যা আকৃষ্ট করে গুজরাতের ব্যবসায়ী সইদকে।
সানার স্বামীর কথায়, “ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমায় বলেছিলেন, সানা দিনে ৫ বার নমাজ পড়ে। খ্যাতির জগতে মানায় না ওকে।” সইদ জানান, সানার প্রতি ওঁর প্রেম গভীর হয় পরিবারের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ দেখে। বাবা-মায়ের খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে তাঁদের পরিচর্যা— সব কিছুই পরম মমতায় করতেন সানা। তখনই আল্লার ইচ্ছায় বুঝেছিলেন ‘বোন’ থেকে স্ত্রী হয়ে উঠতে চলেছেন সানা।
শীঘ্রই প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে চলেছেন দম্পতি। তবে আর আগেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে সানা-সইদের ভিডিয়ো। মুম্বইয়ের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতেই ঘটেছিল সেই কাণ্ড। ভিডিয়োতে দেখা যায়, পরনে কালো বোরখা, গর্ভের ভারে হাঁটতে পারছেন না সানা। নিজমুখে বলছেনও সে কথা। ঘর্মাক্ত সানাকে বলতে শোনা যায়, “আর পারছি না, এখানে একটু দাঁড়াই…” কিন্তু ভ্রুক্ষেপ নেই তাঁর স্বামীর। স্ত্রীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে চলেছেন হাত ধরে। ক্যামেরার আড়ালে চলে গেলেন একেবারে। অনাগত সন্তান কিংবা স্ত্রীর প্রতি কোনও মায়াই কি নেই সইদের? ক্ষোভ উগরে মন্তব্য করেন অনেকে।
সানা পরে বলেন, “আমার শরীর খারাপ লাগছিল তাই ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন আমার স্বামী। ভাই ও বোনেরা, আমি ঠিক আছি। আমায় নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy