‘ইয়ে মেরি লাইফ হ্যায়’-এর সৌজন্যে ন’য়ের দশকে তিনি ছিলেন দর্শকদের ড্রইংরুমের বাসিন্দা। এরপর দীর্ঘদিন পর্দা থেকে নিখোঁজ থাকার পর শর্টফিল্ম ‘সেক্সোহলিক’ দিয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে ফের খবরে ফিরে আসেন। প্রশংসিত হয় ছবিটি। এ হেন শামা সিকন্দর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং। কিন্তু ইনিই নাকি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন! এমনকী অভিনয় থেকে ব্রেক নেওয়ার কারণ নাকি তাঁর মানসিক অবসাদ। আসল বিষয়টি কী জানেন?
বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। দীর্ঘদিন বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভোগা শামা তখন ভুগছেন মানসিক অবসাদে। অভিনয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন সেই সময়ে। প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড অ্যালেক্স বারবার তাঁকে চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও শামা তাঁর কথা শোনেননি। তারপরই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন নায়িকা।
শামার কথায়, ‘‘আমাকে অ্যালেক্স বারবার ডাক্তার দেখাতে বলেছিল। আমি শুনিনি। আমার যেন কিছুই ভাল লাগত না। কোনও কাজেই উত্সাহ পেতাম না। অ্যালেক্স সন্দেহ করেছিল, আমি বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগছি। এক রাতে আমি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিই। মাকে রাতে চুমু খেয়ে বলি, পরের দিন সকালে আমি একটু ঘুমোব। আমাকে ডেকো না। ঘুমোতে যাওয়ার আগে আমার ব্যাঙ্ক ডিটেলস ভাইকে এসএমএস করে জানিয়েছিলাম। তারপর অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিই। ভাইয়ের ওই এসএমএস দেখেই সন্দেহ হয়। মাকে ফোন করে আমার খোঁজ নিতে বলে। ঘণ্টা তিনেক পর সেই রাতেই মা হাসপাতালে নিয়ে যায় আমাকে।’’
আরও পড়ুন, মুক্তি পেল ‘ভিন্নধর্মী’ যৌনতার শর্টফিল্ম ‘সেক্সাহোলিক’, দেখুন এক ঝলক
শামা জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে বাঁচানোর জন্য পরিবারের ওপর রেগে গিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাসই করতেন না, আবার ভাল ভাবে বাঁচা সম্ভব। দু’বছর মেডিটেশনের পরও তিনি সুস্থ হননি। অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর কাউন্সেলিং করতে করতে তাঁর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসে। তিনি আবার জীবনের নতুন মানে খুঁজে পান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে শামা বলেন, ‘‘আমি আমার জীবনের সত্যি ঘটনা সকলের সঙ্গে শেয়ার করলাম। কারণ আমি চাই আমার ঘটনা জেনে বাকিরা যাতে বুঝতে পারে একবার কোনও ভুল হলেও আবার নতুন ভাবে জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।’’
শামা সিকন্দর। ছবি: সংগৃহীত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy