প্রথম ছবি ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ মুক্তি পাবে আগামী ২৭ এপ্রিল। ডেবিউ হিসেবে হাল্কা টেনশনে পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে টেনশন যেটুকু হওয়ার কথা, তা-ও কেটে যাচ্ছে তাঁর টিমের হাসি মুখ দেখে। ছবি মুক্তির আগে ছবি এবং তাঁর টিমের কিছু অজানা তথ্য শেয়ার করলেন স্বয়ং পরিচালক।
ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি
ডেবিউ ডিরেক্টরের প্রথম ছবির প্রথম দৃশ্য গৌতম ঘোষের সঙ্গে। ধ্রুবর কথায়, ‘‘গৌতমদা বলেছিলেন আমি অভিনেতা, তুমি পরিচালক। যা চাই, বলবে। যত বার বলবে, করব। যত ক্ষণ না পারফেক্ট হচ্ছে, করিয়ে নাও। এটা বড় পাওয়া।’’
আবির যখন সোনাদা
আবির চট্টোপাধ্যায়কে দেখে পরিচালকের সব সময়েই মনে হয়েছে তিনি গল্পের সোনাদাকেই দেখছেন। এর কারণ? ধ্রুব বললেন, ‘‘আবির সারা ক্ষণ কো-স্টারদের হেল্প করছে। মজা করে কাজ করেছে। যে ভাবে জুনিয়রদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে, সেটা সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না। সোনাদাও ঠিক এমন। তাই রিলেট করতে পেরেছি।’’
কমলেশ্বরের গল্পের ঝুলি
‘গুপ্তধনের সন্ধানে’র বড় পাওনা পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের অভিনয়। তবে শুটিংয়ের ফাঁকে তাঁর গল্প এনজয় করেছেন ইউনিটের সকলেই। ধ্রব শেয়ার করলেন, ‘‘কমলদা গল্পের ঝোলা নিয়ে বসতেন। অসাধারণ সে সব। সেটাতে জমে গেলে শুটিং করা মুশকিল। তাই বাধ্য হয়েই রাশ টানতে হয়েছিল। হা হা হা…।’’
‘গুপ্তধনের সন্ধানে’র দৃশ্যে গৌতম ঘোষ। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
হোমওয়ার্ক
ধ্রুব নিজে হোমওয়ার্ক-প্রিয় মানুষ। তাই প্রথম ছবির আগে অভিনেতাদের নিয়ে স্ক্রিপ্ট রিডিং সেশন করেছেন। আর সেখানেই পরিচালক কোনও সিন কী ভাবে দেখছেন, অভিনেতাদের দেখার মধ্যে কোনও তফাত্ রয়েছে কি না তা বিস্তারিত আলোচনা হয়। ফলে শুটিংয়ে সকলেই জানতেন, ঠিক কী করতে হবে। সব মিলিয়ে আবির-ইশা-অর্জুনের বন্ডিংটা এই ছবির ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ধ্রুব।
জল- ঝাঁপ
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে শুটিং হয়েছে এই ছবির। দামোদরের জলে ওই ঠান্ডায় ছবির প্রয়োজনে ঝাঁপ দিয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী এবং ইশা সাহা। পরিচালক মনে করেন, ছবির প্রতি অসম্ভব ভালবাসা না থাকলে এটা করা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy