করাচি বিমানবন্দরে ১৯৮৬ সালে প্যান অ্যাম ফ্লাইট ৭৩ ছিনতাই করে জঙ্গিরা। মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্কগামী ওই বিমানে যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে নীরজা ভানোত নামে এক বিমানসেবিকা প্রাণ হারান জঙ্গিদের হাতে। এই নীরজা ভানোতকে নিয়ে পরিচালক রাম মাধবানি এ বছরের শুরুতেই একটি বায়োপিক উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। এই বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন সোনম কপূর। নীরজার ভূমিকায় সোনমকে দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল, তিনি নাকি ‘হুবহু প্রয়াত নীরজ ভানটের মতো দেখতে!’ এমনকী, প্রয়াত নীরজা ভানোতের মা রমা ভানোত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি সোনমের মধ্যেই নিজের মৃতা মেয়েকে ফিরে পেয়েছেন। শুধু অন স্ক্রিন নয় বাস্তবেও মেয়ের ভূমিকাতেই আরও একবার পাওয়া গেল সোনম কপূরকে। বাস্তবের নীরজার হয়ে ‘মাদার টেরেসা মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর সোশ্যাল’ জাস্টিস পুরস্কার নিলেন বড় পর্দার ‘নীরজা’ সোনম।
এ বছর এই পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয় নীরজা ভানোতের নাম। সেই পুরস্কার নিতে রাজিও হয়ে যান নীরজার পরিবার। তবে একটি শর্তে। নীরজার মা রমা ভানোত বলেন, “সোনম আমার মেয়ের হয়ে পুরস্কার নেবে।” এই প্রস্তাবে কোনও আপত্তি ছিল না সোনম কপূরেরও। কারণ, নীরজার চরিত্রে তাঁর বায়োপিকে অভিনয় করতে গিয়ে ভানোত পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নীরজার পরিবারও আপন করে নেয় সোনমকে। তাই নীরজার দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়েই পুরস্কারের মঞ্চে উঠে এই বিশেষ মরণোত্তর পুরস্কার গ্রহণ করেন সোনম। পুরস্কার হাতে নিয়ে সোনম জানিয়েছেন, নীরজার হয়ে এই পুরস্কার নিতে পেরে তিনি গর্বিত। কারণ, যাঁরা নিজের জীবন দিয়ে জীবনকে ছাপিয়ে যেতে চান, নীরজা ভানোত তাঁদের কাছে এক বলিষ্ঠ উদাহরণ।
আরও পড়ুন: বয়ফ্রেন্ডের থেকে কী গিফট পেলেন সোনম?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy